ব্রিকস ব্যাংকে যোগ দেয়ার চুক্তির অনুসমর্থনে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন মিলেছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, আটটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ যে ব্রিকস ব্যাংকে অংশগ্রহণ করে, সেই চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে যখন ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক নামে নতুন ব্যাংক করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল বাজার ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জনস্যপূর্ণ বাণিজ্য এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামো টেকসই উনন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ণ করার লক্ষ্যে।
তিনি বলেন, আটটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ এই ব্যাংকে অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণের সেই চুক্তি রেটিফাই করার প্রয়োজন ছিল, আজ মন্ত্রিসভা ওই চুক্তি অনুসমর্থনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
এই চুক্তি অনুমোদ হওয়ায় সুবিধা কি পাওয়া যাবে সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইতিমধ্যে কয়েকটি প্রজেক্ট আছে, ছয় শ কোটি টাকার বেশি প্রজেক্ট পাইলাইনে আছে। অনুসমর্থন হয়ে গেলে ওই প্রকল্পগুলো পাওয়া সহজ হয়ে যাবে। আমরা চাঁদা দেই, কিন্তু তার থেকে কয়েকগুণ বেশি অর্থায়ন পাচ্ছি।
সচিব আরও বলেন, বিশ্ব ব্যাংক, এডিবির মতো দাতা সংস্থা যারা আছে তারা ফসিল ফুয়েলের ওপর প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় না। এই ব্যাংকে সে বিষয়ে বিধিনিষেধ নেই। তারা এখানে অর্থায়ন করছে। অর্থায়নের জন্য আমাদের প্রকল্প বাছাই করছে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা এই পাঁচ দেশের অর্থনৈতিক জোট ব্রিকসের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই যাত্রা শুরু করে নিউ ডেভলেপমেন্ট ব্যাংক-এনডিবি। ব্রিকস জোটের সদস্যদের পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশগুলোতেও অবকাঠামো খাত এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পসমূহে ঋণ দেয় এনডিবি।
ব্রিকস ব্যাংকে যোগ দেওয়ার চুক্তি অনুমোদন হওয়ায় কী সুবিধা পাওয়া যাবে- সেই প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রকল্প আছে, ছয়শ কোটি টাকার বেশি প্রকল্প পাইলাইনে আছে। এই চুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুসমর্থন হয়ে গেলে ওই প্রকল্পগুলো পাওয়া সহজ হয়ে যাবে।
একুশেসংবাদ.কম/আ/বিএস
আপনার মতামত লিখুন :