AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিবাহিত অসুখী নারী চিনবেন যে লক্ষণ দেখে


Ekushey Sangbad
লাইফস্টাইল ডেস্ক
০৬:২২ পিএম, ২০ মে, ২০২৩
বিবাহিত অসুখী নারী চিনবেন যে লক্ষণ দেখে

বিয়ে পবিত্র এক বন্ধনের নাম। দুজন নারী-পুরুষ সারাজীবন একে অপরের সঙ্গে থাকবেন, ভালো-মন্দ ভাগ করে নেবেন, বন্ধু হবেন- এমন আশ্বাসেই বিয়ের সম্পর্কে জড়ান। একজন নারী রঙিন স্বপ্ন বোনেন সংসার নিয়ে। তবে সবার বিবাহিত জীবন সুখের হয় না। সন্দেহ, অভিমান কিংবা শ্বশুরবাড়ির অন্যান্য সদস্যদের দেওয়া আঘাত সেখানে জায়গা করে নেয়। 

 

বিয়ের পর একজন নারী তার বাবা-মাকে ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবেশে আসে। সেখানে স্বামীর অসহযোগিতা, অবহেলা তাকে অশান্তির দিকে ঠেলে দেয়। একজন বিবাহিত নারী সুখী নাকি অসুখী তা কিছু কাজের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। আজ চলুন একজন অসুখী বিবাহিত নারীর কিছু লক্ষণ জেনে নিই- 

 

ঘুমের অভাব

একটি গবেষণায় দেখা যায়, একজন অসুখী বিবাহিত নারীর তুলনায় একজন সুখী নারীর ঘুম ভালো হয়। স্বামীর রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরা, অনেকসময় না ফেরা, বাড়ি ফিরে বাজে ব্যবহার অথবা সাংসারিক কাজের চাপ ইত্যাদি কারণে রাতে ঘুমের স্বল্পতা দেখা দেয়। আবার সন্তান জন্মদানের পরিবর্তী সময়ে পর্যাপ্ত ঘুমানো সম্ভব হয় না নতুন মায়ের। দীর্ঘ দিন ধরে এই ঘুমের ব্যাঘাতজনিত সমস্যা চলতে থাকলে তা নারীর শরীর ও মনের ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। যার ফলে তার চেহারায় মলিনতা ফুটে ওঠে। দেখা দেয় স্বল্পমেজাজ, সহজে হতাশ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা। 

 

বিষণ্ণতা

দৈনন্দিন কাজের ধকল নারীর ওপর বাজে প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিকভাবে বিয়ের পর সব নারীরই কাজের চাপ বেড়ে যায়। তার ওপর সাংসারিক দায়িত্ব এসে পড়ে। কিন্তু একজন সুখী বিবাহিত নারী স্বামীর সহায়তায় যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি সামলাতে পারে। বৈবাহিক জীবনে অশান্তির কারণে কাজের ধকলগুলো তার কাছে বোঝা মনে হতে পারে। যার ফলে একজন নারী হতাশা বা বিষণ্ণতায় ভুগতে পারেন। একজন অসুখী বিবাহিত নারীকে সবসময় বিষণ্ণ দেখা যায়। 

 

পরকীয়া

একজন অসুখী বিবাহিত নারী বেশিরভাগ সময় পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। স্বামীর অবহেলা, কম সময় দেওয়া, খারাপ আচরণ করা ইত্যাদি তাকে প্রভাবিত করে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে। যেকোনো বিবাহিত নারীর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া তার বিবাহিত জীবনে অসুখী হওয়ার লক্ষণ। 
 
যোগাযোগ কমে যাওয়া

অসুখী বিবাহিত নারীর আরেকটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ হলো স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ কমে যাওয়া। তবে এক্ষেত্রে পুরুষকেই দায়ী মনে করা হয়। স্বামীর বাহিরে সময় বেশি কাটানো, স্ত্রীকে কম গুরুত্ব দেওয়া, স্বামীর বাজে ব্যবহার ইত্যাদি কারণে বৈবাহিক সম্পর্কে অবনতি ঘটে। কোনো দম্পতির মধ্যে যদি দূরত্ব সৃষ্টি হয় তখন স্ত্রী তার অনুভূতিগুলো স্বামীকে প্রকাশ করতে পারে না। ফলে তিনি অসুখী বৈবাহিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। 

 

বিবাহিত জীবন সুখের হয় স্বামী আর স্ত্রী দুজনের সম্মিলিত অবদানে। সম্পর্কে অবনতি হলে সচেতন হোন। দুজনে সরাসরি আলোচনা করুন। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। তাতে দাম্পত্য জীবন হবে আনন্দময়। 

 

 একুশে সংবাদ.কম/বিএস

Link copied!