AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০১:২৪ পিএম, ১৭ নভেম্বর, ২০২০
কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার জন্মদিন আজ

পাঁচ দশকের বেশি সংগীতজীবনে রুনা লায়লা গেয়েছেন ১৮ ভাষায় গান।আজ জন্মদিন এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনার ৬৮তম জন্মদিন আজ।১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন এই গায়িকা।

সংগীতময় পরিবেশে বেড়ে ওঠেন রুনা।তার মা অনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা সংগীতশিল্পী হিসেবে বেশ পরিচিত ছিলেন। বিখ্যাত সংগীতশিল্পী সুবীর সেন রুনা লায়লার মামা।
রুনা লায়লার বাবার নাম এমদাদ আলী।১৯৫৫ সালের মার্চে তার বাবা রাজশাহীর এমদাদ আলী বদলি হন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে।তখন  রুনার বয়স আড়াই বছর।রুনা লায়লার শৈশব কেটেছে পাকিস্তানের করাচিতে। 
তখন  সেখানেই বড় হয়ে ওঠা তার।

বড় বোন গান করতেন৷ রুনা করতেন নাচ। কিন্তু হঠাৎ বাঁকবদলে ছোট রুনাই হয়ে উঠলেন নন্দিত গায়িকা।

বিগত শতাব্দীর ষাটের দশকে গানের ভুবনে যাত্রা শুরু করেন রুনা লায়লা। পাঁচ দশকের সংগীতজীবনে লোকজ, পপ, রক, গজল, আধুনিক—সব ধাঁচেই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন রুনা। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, উর্দু, পাঞ্জাবি, সিন্ধি, গুজরাটি, বালুচ, অ্যারাবিক, ফারসি, মালয়, নেপালিজ, জাপানিজ, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজি ভাষার গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বলা হয়, প্রায় ১৮টি ভাষায় গাইতে জানেন গুণী এই সংগীত শিল্পী।
এছাড়াও নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে একদিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখান রুনা।।এবারই প্রথম জন্মদিনে থাকছে না কোনো আয়োজন। তবে তাঁর সুরে প্রকাশিত হচ্ছে নতুন একটি গান ‘এই দেখা শেষ দেখা’। গানটিসহ অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তাঁর সঙ্গে।

বাংলাদেশের সিনেমায় রুনা লায়লার গাওয়া প্রথম গান গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ও সুবল দাসের সুরে ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি লিখে’। লাহোরে থাকাকালেই গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন তিনি। সিনেমায় প্লেব্যাক করে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ছয়বার। সিনেমাগুলো হলো—‘দ্য রেইন’ (১৯৭৬), ‘যাদুর বাঁশী’(১৯৭৭), ‘অ্যাকসিডেন্ট’(১৯৮৯), ‘অন্তরে অন্তরে’ (১৯৯৪), ‘তুমি আসবে বলে’ (২০১২) এবং ‘দেবদাস’ (২০১৩)।

বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে গান গেয়েছেন রুনা লায়লা। সর্বশেষ গেয়েছিলেন ১৯৯০ সালে অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘অগ্নিপথ’ ছবির ‘আলিবাবা মিল গ্যায়া চল্লিশ চোর সে’ গানটি। বলিউডে তার গাওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘ও মেরা বাবু চেইল চেবিলা’। পাকিস্তানের ‘মান কি জিত’ (১৯৭২) ছবির এ গানটি ব্যবহার হয় বলিউডের ‘ঘর দুয়ার’ (১৯৮৫) ছবিতে।

জীবনে বহু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন রুনা লায়লা। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘স্বাধীনতা দিবস’ পুরস্কারে ভূষিত করে। সংগীতের জন্য তিনি নিজের দেশের গণ্ডি বিদেশেও নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন। রুনা লায়লা ভারতে ‘সায়গল পুরস্কার’ পেয়েছেন। পাকিস্তানে দুবার নিগার পুরস্কার, দুবার গ্র্যাজুয়েট পুরস্কার এবং ‘জাতীয় সংগীত পরিষদ স্বর্ণপদক’ পেয়েছেন।

রুনা লায়লা চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। তিনি ‘শিল্পী’ নামক বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে মূল চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা পান তিনি। এখানে তার নায়ক ছিলেন তারই স্বামী অভিনেতা আলমগীর।

একুশে সংবাদ/তাশা

Link copied!