কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে অভাবের তাড়নায় দত্তক দেওয়া সেই কন্যা সন্তান মুক্তিকে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা প্রশাসন।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাবার কাছে মুক্তিকে হস্তান্তর করা হয়।
মুক্তি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়ন বানুরকুটি গ্রামের পাথর শ্রমিক শফিকুল-মরিয়ম দম্পতির পঞ্চম সন্তান।
এর আগে শনিবার ভোরে জন্ম গ্রহণ করে মুক্তি। পরে জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরে প্রতিবেশী মামাতো বোন লাকি-আলমগীরের কাছে দত্তক দেওয়া হয়। দত্তকের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর নড়েচড়ে বসেন প্রশাসন। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুক্তিকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছিলে ২০ হাজার টাকায় ওই কন্যাসন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছিল তার বাবা শফিকুল ইসলাম। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে শফিকুল ইসলাম বলেন, টাকা নিয়ে আমার সন্তানকে আমি অন্যের কাছে বিক্রি করি নাই। অভাবের সংসারে এতগুলো সন্তানের ভরণপোষণ করতে পারবো না বলে দত্তক দিয়েছিলাম। যাতে আমার সন্তানরা অন্যের কাছে ভালো থাকে। এর আগেও আরেক মেয়েকেও অন্যের কাছে দত্তক দিয়েছি। এখন ফিরে পেয়ে খুশি হয়েছি। তবে বর্তমানে ছোট ছোট চার সন্তানের ভরণপোষণ নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছি।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বাচ্চাটিকে দত্তক দেওয়ার খবর পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়েছে। ওই দম্পতি এরকম আরও একটি ঘটনা ঘটিয়েছেন তাই তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে অবগত করা হয়েছে যাতে তারা এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটায়। এ ছাড়া পরিবারটিকে সরকারি সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ম.আ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :