AB Bank
ঢাকা রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মৎস সপ্তাহে  প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ


মৎস সপ্তাহে  প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ

সারাদেশের মতো নাটোরের গুরুদাসপুরে জাতীয় মৎস সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১ টা র‌্যালী, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, প্রচারাভিযান ও আলোচনাসভার মাধ্যমে চলমান কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে ৩০ জুলাই। কিন্তু মৎস বিভাগের পদক্ষেপ না থাকায় চলমান মৎস সপ্তাহেও বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ।

 

বর্ষার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলসহ নদী, খাল,বিল উন্মুক্ত জলাশয়ে শুরু হয় দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ ধরার মহোৎসব। মৎস বিভাগের উদাসীনতা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ না থাকায় চলছে মা ও পোনা মাছ শিকার। সেগুলো প্রকাশ্যে গুরুদাসপুরের হাট বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। একশ্রেনীর অসাধু জেলে নিষিদ্ধ কারেন্ট, বাদাই ও চায়না জাল দিয়ে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনা মাছ নিধন করছে। এতে অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় মাছ।

 

মঙ্গলবার (২৫জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সরোজমিন চলনবিলকেন্দ্রীক নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড়সহ বিলশা,খুবজীপুর,কাছিকাটা সহ বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা দেছে প্রতিদিন সকাল বিকাল বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ বিক্রি হচ্ছে। যে মাছগুলো নিষিদ্ধ চায়না,কারেন্ট জাল,বাদাই জালসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে শিকার করা। অবাধে দিনরাত চলছে মা ও পোনা মাছ শিকার।

 

মঙ্গলবার উপজেলার চাঁচকৈড় বাজারে বোয়াল মাছের পোনা প্রতিকেজি ৪০০, টেংরা ৪৫০, শিং ৪০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। তাছাড়া ডিমওয়ালা টেংরা ৬০০, বড় শিং মাছ ৬০০, দেশী কৈ ৫০০, বড় গুচি ৮০০ টাকায় প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে। বড় আকৃতির মা মাছের পেট ডিম ভর্তি।

 

বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আকবর আলী বলেন, বর্ষা শুরু হলে জুলাই-আগষ্ট মাসে চলনবিলেসহ নদী,খাল,বিল উন্মক্ত জলাশয়ে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এসময়টাতে মাছ ধরা একেবারেই নিষিদ্ধ। ১৯৫০ সালের মৎস্য আইন অনুযায়ী যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু কেউ আইনের তোয়াক্কা করছে না। এভাবে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন করা হলে চলনবিল থেকে দেশি প্রজাতির মাছ একদিন হারিয়ে যাবে।

 

এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রতন চন্দ্র সাহা বলেন, মা ও পোনামাছ নিধন বন্ধে সপ্তাহব্যাপী প্রচারাভিযান চলছে। আমরা নিষিদ্ধ কারেন্ট, বাদাইসহ চায়না জালে মাছ শিকার বন্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবনী রায় জানান,ডিমওয়ালা মা মাছসহ পোনামাছ নিধন বন্ধে প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

একুশে সংবাদ/জ.প.প্র/জাহা

Link copied!