AB Bank
ঢাকা সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গর্ভবতীর মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে কিশোরীকে চিকিৎসকের যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব


Ekushey Sangbad
শেখ সোহেল, বাগেরহাট
০৮:০০ পিএম, ২৪ জুলাই, ২০২৩
গর্ভবতীর মিথ্যা রিপোর্ট দিয়ে কিশোরীকে চিকিৎসকের যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ডা. নাফিউল ইসলাম নামের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

 

এ ঘটনায় সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে ওই কিশোরীর পরিবার ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

এদিকে এ ঘটনায় ডা. নাফিউল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়েছে ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

 

লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, পেটে ব্যাথা নিয়ে গত ১৯ জুলাই ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক তাকে আল্ট্রসনোগ্রাম করার জন্য বলেন। এসময় ওই কিশোরীর মা তাকে নিয়ে উপজেলা মোড়ে লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে যান। আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষে দায়িত্বে থাকা ডা. নাফিউল ইসলাম কিশোরীকে একা রেখে তার মাকে বের করে দেয়। এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাম করার সময়ে ডা. নাফিউল ওই কিশোরীকে জানায় সে গর্ভবতী এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে বলেন তাকে খুশি করলে গর্ভের সমস্যার সমাধান করে দিবেন। এসময় ওই চিকিৎসক কিশোরীর হাত ধরে জোর করে চুমু দেয়। ভয় পেয়ে কিশোরীটি আল্ট্রাসনোগ্রাম কক্ষ থেকে দ্রুত বের হয়ে আসে। বিষয়টি কিশোরী তার অভিভাকদের জানালে তারা পুনরায় ডিজিটাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিকস সেন্টার নামে অপর একটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন। সেখানে ওই কিশোরীর এপেন্ডিক্সের সমস্যা ধরা পড়ে। এছাড়া কিশোরীর দুটি রিপোর্ট ও পেটে ব্যাথার উপসর্গ দেখে চিকিৎসক তার এপেন্ডিক্স হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।

 

ফকিরহাটের লাইফ কেয়ার ক্লিনিক এণ্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের মালিক লিটন কুণ্ডু বলেন, ঘটনার পর ডা. নাফিউল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

 

অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. নাফিউল ইসলাম বলেন, কিশোরীর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ভুল করেছি। কিন্তু তার সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করিনি। তারা ভুল বুঝেছে।

 

ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম মফিদুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে সিভিল সার্জন স্যারের নির্দেশে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!