AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অপবাদ ঘুচল হাঁড়িচাচার


Ekushey Sangbad

০৮:৫০ এএম, আগস্ট ২৫, ২০১৪
অপবাদ ঘুচল হাঁড়িচাচার

একুশে সংবাদ ডেস্ক : ম্যাগপাই ইউরোপে অতি চেনা পাখি, ঘাটে-মাঠে-বাগানে, গাছে-গাছে৷ সাদা-কালো দাঁড়কাকের সাইজের এই পাখিগুলোর গয়না চোর বলে দুর্নাম আছে৷ অথচ তারা নাকি চকচকে জিনিস বিশেষ পছন্দ করে না - বলছেন পক্ষিবিশারদরা৷ যে সব বিজ্ঞানীরা জীবজন্তুর আচার-ব্যবহার নিয়ে চর্চা করেন, তারা বলছেন, ম্যাগপাইরা ‘ক্লেপ্টোম্যানিয়াক' তো নয়ই, বরং তারা অচেনা বস্তু দেখলে ভয় পায়৷ পরীক্ষা চলে ব্রিটেনের এক্সেটার ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে, পেষা এবং বুনো হাঁড়চাচাদের নিয়ে৷ বিজ্ঞানীরা চকচকে ও ম্যাটম্যাটে, দু'ধরনের বস্তু রেখে দেখেন, হাঁড়িচাচারা কি বলছে থুড়ি করছে৷ অবশ্য ‘বলছে' বললেও কোনো ভুল হতো না! ম্যাগপাইদের হাঁড়িচাচা নামই হয়েছে তাদের ডাকের কল্যাণে: শুনলে মনে হবে যেন ঝিনুক দিয়ে হাঁড়ি চাঁচাঁ হচ্ছে৷ যাই হোক, যে সব বস্তু রাখা হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে ছিল স্ক্রু আর কুণ্ডুলি পাকানো কয়েল: তাদের অর্ধেককে ম্যাটম্যাটে রঙ দিয়ে পেইন্ট করে ম্যাটম্যাটে করে দেওয়া হয়েছিল; বাকিগুলো ছিল নতুন, চকচকে৷ এছাড়া ছিল কিছুটা অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল৷ আর সবকিছুর মাঝে ডাঁই করে রাখা ছিল ম্যাগপাইদের প্রিয় খাদ্য: নানা ধরনের বাদাম৷ ৬৪ বার পরীক্ষা করে দেখা গেল, ম্যাগপাইরা মাত্র দু'বার একটা চকচকে জিনিস ঠোঁটে তুলে নিয়েছে৷ দু'বারেই তারা একটি রুপার আংটি তুলেছে এবং তুলেই আবার ফেলে দিয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা এ খবর দিয়েছেন ‘অ্যানিমাল কগনিশন' জার্নালে৷ চকচকে জিনিস দেখে আকৃষ্ট হওয়া তো দূরের কথা. হাঁড়িচাচাদের দৃশ্যত ‘নিওফোবিয়া' বা নতুন জিনিসে বিতৃষ্ণা আছে৷ তারা যে বাদামের ডাঁই থেকে খাচ্ছে, তার ধারেকাছে কোনো চকচকে জিনিস থাকলেই তাদের সন্দেহবাতিক দেখা দেয়৷ এ থেকে কী প্রমাণ হয়? হাঁড়িচাচাদের বিশ্বের সর্বত্র বুদ্ধিমান পাখি বলে ধরা হয়৷ ইউরোপীয় কিংবদন্তিতে তাদের আবার চুরির বাতিক আছে: বারান্দা কি জানলার কাঠে সোনাদানা রাখা থাকলে, ম্যাগপাইরা নাকি তা চুরি করে নিয়ে গিয়ে নিজেদের বাসায় রাখে৷ তাদের এই স্বভাব নিয়ে যেমন রোসিনির অপেরায় গান গাওয়া হয়েছে, তেমন টিনটিনের কমিক বইতেও ম্যাগপাইদের এই চৌর্যবৃত্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে৷ কিন্তু এক্সেটারের পরীক্ষা প্রমাণ করছে যে, হাঁড়িচাচারা – এক কথায় – চতুর৷ চকচকে জিনিস দেখে হাঁ করে না থেকে, তারা এই ধরনের অচেনা বস্তু থেকে দূরে থাকে, নিরাপদে থাকে৷ তবে এক্সেটারের হাঁড়িচাচারা যদি এই পন্থায় বিজ্ঞানীদের বোকা বানিয়ে থাকে, তাহলে কিছু বলার নেই ! একুশে সংবাদ ডটকম/এফরান/২৫.০৮.০১৪:
Link copied!