ধামরাইয়ে জনপ্রিয় সবজি কচু ও লতি
একুশে সংবাদ ডেস্ক : ধামরাইয়ে বর্ষার জনপ্রিয় সবজি এখন কচু।যার কিছুই ফেলা যায় না। প্রকারভেদে আমাদের দেশে পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরনের কচু। কাঠ কচু,বিন্নি কচু,মুখি কচু,মান কচু ইত্যাদি কচু ছাড়াও গ্রামাঞ্চলে পাওয়া যায় এমনিতেই গজিয়ে থাকা অন্না কচু ।কচুর শাকপাতা থেকে শুরু করে লতা এমনকি ডাটা পর্যন্ত মুখরোচক সবজি হিসেবে সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সমাদৃত। আর সবজি হিসেবে কাঠ কচুর চাহিদাও ব্যাপক। এ কারণে ধামরাইসহ দেশের প্রান্তিক চাষিরা ব্রাপকভাবে কচু চাষে ঝুকেঁ পড়েছে। বর্ষাকালের কচু সবজি গ্রামবাঙলা কিংবা শহরের মানুষের কাছে প্রিয়।এই কচু ধামরাইয়ের চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে চাহিদা মিটাচ্ছে।এসব কচুকে এলাকাভেদে কোথাও পানি কচু,শোলা কচু ও বলে।এসব কচুর লতি ,পাতা,কান্ডসহ সব অংশই সবজি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে কচুর লতি শুটকি মাছ দিয়ে রান্œা করে খাওয়ার যে তৃপ্তি তা বলে শেষ করা যায় না।এ জন্য দেশে কচুর পাশাপাশি লতি এবং কান্ড ও খবুই জনপ্রিয়।চিকিতসকদের মতে,কচু,পাতা ও কান্ডে রয়েছে প্রচু পরিমান ক্যারোটিন,ক্যালসিয়াম আয়রণ,ভিটামিন বি ও সি।কচুর মাকের চাহিদাও রয়েছে ব্রাপকহারে। এত চোখের বিভিন্ন রোগ রাতে কম দেখা এবং শিশুর অন্ধত্ব থেকে বাচঁতে গ্রামাঞ্চলের লোকজন কচু পাতা খেয়ে থাকে।কিন্তু কৃষি বিভাগের কোনো পরামর্শ পায় না কচু চাষীরা।তারা সেই বাপ দাদার আমল থেকেই নিজ প্রচেষ্ঠায় কচুর চাষ করে চলেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কচু চাষীদের।তারা জানান,কচু চাষ লাভজনক।সরকারী সাহায্য সহযোগিতা এবং কৃষি বিভাগের পরামর্শ পেলে তারা কচু চাষে আরো লাভবান হতো এবং অনেক কৃষক কচু চাষে ঝুকে পড়তো। আর এই কচু চাষ করেই তাদের অনেকের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতো।কিন্তু কৃষি বিভাগের এ চাষের প্রতি নেই কোনা দৃষ্টি। নেই সরকারি -বেসরকারি কোনা পৃষ্টপোষকতা ।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :