বারডেম পরিস্থিতি স্বাভাবিক, স্বস্তিতে রোগীরা
একুশে সংবাদ : রাজধানীর বারডেম হাসপাতালের সব বিভাগে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আগের মতো নিয়মিত চিকিত্সাসেবা শুরু হয়েছে। এতে রোগীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। চিকিত্সকদের আন্দোলনের কারণে গত দুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিত্সাসেবা বন্ধ ছিল। এতে দুর্ভোগ পোহান রোগীরা।
আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক শহিদুল হক মল্লিক বলেন, সব বিভাগে চিকিত্সাসেবা কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ সকালে রোগীর চাপ কিছুটা কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে।
চিকিত্সকদের আন্দোলন প্রত্যাহারের পর বারডেম হাসপাতালে চিকিত্সাসেবা শুরু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
নরসিংদী থেকে আসা আবুল হাসিম জানান, তিন দিন আগে ঢাকায় আসেন তিনি। কিন্তু চিকিত্সকদের আন্দোলনের কারণে গত দুদিন ধরে হাসপাতাল বন্ধ ছিল। এ কারণে বাধ্য হয়েই তাঁকে ঢাকায় থাকতে হয়েছে। আজ চিকিত্সা নিয়েছেন তিনি।
ডেমরা থেকে চিকিত্সা নিতে আসা তুলসী রানী দাসও আজ চিকিত্সা নিয়েছেন। হাসপাতালে চিকিত্সাসেবা শুরু হওয়ায় তিনিও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বারডেম হাসপাতালের চিকিত্সকেরা গতকাল বুধবার বিকেলে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়ায় চিকিত্সকেরা এই সিদ্ধান্ত নেন।
কর্মসূচি প্রত্যাহার করায় আজ থেকে হাসপাতালে চিকিত্সাসেবা আগের মতোই চলবে বলে গতকাল বারডেমের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুন নাহার প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
আন্দোলনরত চিকিত্সকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চিকিত্সক মারধরের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিলে তাঁরা কাজে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। সরকার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁদের দাবি পূরণ হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদুর রহমান জানান, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ হোসেনকে (গোয়েন্দা) প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল রাতে বারডেম হাসপাতালে সিরাজুল ইসলাম নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিত্সকেরা অভিযোগ করেন, ওই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর করেন। তাঁরা তিন চিকিত্সককে মারধর করেন। একজন নারী চিকিত্সক প্রাণভয়ে টয়লেটে লুকালে সেখান থেকে তাঁকে টেনেহিঁচড়ে বের করে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই ঘটনায় ইন্ধন দেন মাসুদ হোসেন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের এপিএস এম এ বাবু। চিকিত্সকেরা অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন। গত পরশু থেকে বহির্বিভাগে রোগী দেখা ও নতুন রোগী ভর্তি করা থেকে তাঁরা বিরত থাকেন।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :