নিউইয়র্কে বিজয় দিবস উদ্যাপন
একুশে সংবাদ : গতকাল যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমূখর পরিবেশে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর যৌথ আয়োজনে ৪৯তম বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়।
সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে দিবসটি উদ্যাপনের শুভ সূচনা হয়। এসময় মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
সন্ধ্যায় মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং শহিদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। রাষ্ট্রদূত তাঁর স্বাগত বক্তব্যের শুরুতেই স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ত্রিশ লাখ শহিদ ও দুইলাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল, একটি দায়িত্বশীল ও প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত। জাতিসংঘেও আমাদের অবস্থান অত্যন্ত সম্মানের।
তিনি এলডিসি থেকে উত্তরণ, রোহিঙ্গা সমস্যা, এসডিজি বাস্তবায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন, বিশ্ব শান্তি রক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কারণে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি হচ্ছে উল্লেখ করেন রাবাব ফাতিমা। তিনি রেমিট্যান্স প্রেরণ ছাড়াও প্রবাসীদের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বিনিয়োগের মাধ্যমে সরাসরি দেশের উন্নয়নে আরও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
জাতিসংঘসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বত:স্ফুর্ত সহযোগিতা আহ্বান জানান স্থায়ী প্রতিনিধি।
কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে ওঠা শিশুদের বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি শিক্ষা দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে বিচারের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহায়তা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেষে স্থানীয় সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী ‘বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আটর্স’ দেশাত্মবোধক ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে। অংশগ্রহণকারী শিশু-কিশোর শিল্পীদের উপহার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং ‘কারাগারের রোজনামচা’ বই দুটি প্রদান করা হয়।
এস.পি.এই // ১৭.১২.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :