অবসান ঘটল জল্পনার , কয়েক ঘণ্টা পরেই সৃজিত-মিথিলার বিয়ে
একুশে সংবাদ: কিছুিদন ধরেই খবরটা ঘুরছিল বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। বাংলা ছবির এই মুহূর্তে ব্যস্ততম পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বিয়ে। তিনি বিয়ে করতে চলেছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী মিথিলাকে। বিয়েটা ঠিক কবে হবে তা নিয়ে ছিল জল্পনা। অবশেষে ঘটল জল্পনার অবসান। এক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধেতেই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সৃজিত-মিথিলা।
জানাগেছে, এদিনই তাঁদের রেজিস্ট্রি হবে। রেজিস্ট্রি হবে দক্ষিণ কলকাতার এক ফ্ল্যাটে। এ ব্যাপারে বর-কনে দু’জনেই মুখে কুলুপ আঁটলেও যা জানাগেছে, রেজিস্ট্রির পর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব নিয়ে একটা ছোট পার্টি অ্যারেঞ্জ করেছেন এই নবদম্পতি। এরই মধ্যে শোনা গিয়েছিল, তিনি নাকি বাংলাদেশ থেকে বিয়ের কেনাকাটাও শেষ করেছেন।
২০২০-র ২২ ফে্রুয়ারী বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল বলে জানা গেছে। যদিও তারা কেউই এই বিষয়ে মুখ খোলেননি সংবাদমাধ্যমে। চুপচাপই ছিলেন দু’জন।
তবে তাদের প্রেম ও বিয়ের গুঞ্জন নতুন কিছু নয়। বহুদিন ধরেই সৃজিতের - মিথিলার প্রেমের কথা শোনা যাচ্ছিলো। বরাবরই তারা ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ বলে এটি অস্বীকার করেছেন। কিন্তু কলকাতা বা বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে তাদের একসঙ্গে বহুবার পাওয়া গিয়েছে। এমনকি পারিবারিক অনুষ্ঠানেও তারা নিয়মিত উপস্থিত ছিলেন।
গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি ঘরোয়া পার্টিতে তাঁদের একসঙ্গে প্রথম দেখা যায়। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর পরিচালকের জন্মদিনের বিশেষ ছবিতেও দেখা যায় মিথিলাকে। সর্বশেষ তাদের দুজনকে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সদ্য সমাপ্ত ফোকফেস্ট দেখা গিয়েছে।
গত মাসে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, সৃজিত-মিথিলার প্রেমের সম্পর্কটা দারুণ চলছে। ঈদের ছুটিতে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় সৃজিতের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিেলন মিথিলা।
এ বিষয়ে মিথিলা বলেন, ‘ সৃজিতের সঙ্গে আমার পরিচয় অনেক দিনের। এর আগেও আমাদের দেখা-কথা হয়েছে। আমাদের দুজনের কয়েকজন কমন বন্ধুও আছে। ইদানিং কাজের প্রয়োজনে যোগাযোগটা বেশি হয়।’
এক সংবাদমাধ্যমে জানা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে মিথিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেই বাংলাদেশে এসেছিলেন সৃজিত। এই প্রসঙ্গে সৃজিতের বক্তব্য ছিল, ‘আমি ওর পরিবারকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। ওর পরিবারের সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করার জন্য আমার যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।’ যদিও ইদানিং মাঝে মধ্যেই বাংলাদেশ আসছিলেন পরিচালক সৃজিত।
এইচ//ক.ক// ৭/১২/১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :