নৈসর্গিক প্রকৃতির রাজ্য বিছনাকান্দি
একুশে সংবাদ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে হারিয়ে যেতে চায় সবাই।কিন্তু সময়ের অভাবে তা আর সম্ভব হয় না ।শহুরে কর্মজীবনের ব্যস্ত সময়কে পেছনে ফেলে ঘুরে আসতে পারেন সিলেটের বিছনাকান্দি থেকে।
বিছনাকান্দির মূল আকর্ষণ হচ্ছে ভারতের উঁচু পাহাড়ের ঝরনা থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ শীতল জলধারা এবং দূরের আকাশচুম্বী পাহাড়ের সৌন্দর্য। বর্ষা বা বর্ষার শেষ মুহূর্তে এর নৈসর্গিক প্রকৃতি উপভোগ করে আসুন।
পানির গভীরতা বেশি নয় বলে পরিষ্কার পানিতে উঁচু-নিচু পাথরগুলোকে দেখা যায়। নদীটির দুই পাশেও রয়েছে পাথরের সারি। সামনের দিকে তাকালে ঝরনা এবং উঁচু পাহাড়ের আঁকাবাঁকা সারিগুলো আপনার মন কাড়বে। তবে এই সবগুলো পাহাড় এবং ঝরনার অবস্থানই ভারতে।শীত মওসুমে বিছানাকান্দির আসল সৌন্দর্য পাওয়া যায় না।
সামনে উঁচু পাহাড়ে ঘেরা সবুজের মায়াজাল।সেখান থেকে নেমে আসা ঝরনার অশান্ত শীতল পানির অস্থির বেগে বয়ে চলা,গন্তব্য নদীর বুক। পথে যেতে দূর থেকেই পাহাড়ের সৌন্দর্য মন কাড়বে আপনার। মন চাইবে দুই হাতে জড়িয়ে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে আলিঙ্গন করতে। এখানে বর্ষাস্নাত প্রকৃতি যেন সেজে ওঠে সবুজের আচ্ছাদনে।
যেভাবে যাবেন :
বিছনাকান্দি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে বিছনাকান্দির দূরত্ব প্রায় ৩৯ কিলোমিটার। বিছনাকান্দি যেতে হলে প্রথমে বাসে বা ট্রেনে চলে যান সিলেট শহরে। সেখান থেকে সিএনজি বা মাইক্রোবাস ভাড়া করে আপনাকে যেতে হবে হাদারপার। সিএনজি ভাড়া করলে খরচ পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকা, তবে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করে গেলে খরচ আরো কম পড়বে। আপনি যদি মাইক্রো ভাড়া করে যান, তাহলে খরচ পড়তে পারে ৪০০০-৭০০০ টাকা। আপনি সিলেটের আম্বরখানা থেকে বিছনাকান্দি যাওয়ার অনেক গাড়ি পাবেন। পথের রাস্তা মোটেও সুবিধার নয়, রাস্তা সরু এবং ভাঙা। সিলেট শহর থেকে হাদারপাড় পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা । হাদারপাড় পৌঁছে আপনি ঘাটে সারি সারি মোটর বোট বা নৌকা দেখতে পাবেন। একটু দাম-দর করে বোটে উঠে পড়তে পারেন। একটি মোটর বোট ভাড়া লাগতে পারে ১২০০-১৮০০ টাকা, বসতে পারবেন ১০-১২ জন। বোটে চড়ে ৪০ মিনিটে আপনি পৌঁছে যাবেন প্রকৃতির রাজ্য বিছনাকান্দিতে।
কখন যাবেন :
বিছনাকান্দির আসল সৌন্দর্য দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে বর্ষার মাঝামাঝি সময়ে। কারণ এ সময় ভারত থেকে নেমে আসা জলধারা বিছনাকান্দির সৌন্দর্যকে আরো বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে। সে ক্ষেত্রে জুন থেকে অক্টোবর হচ্ছে বিছনাকান্দি যাওয়ার সবচেয়ে উত্তম সময়। এ সময়ের সবুজ প্রকৃতি আপনাকে মোহিত করবে।
একুশে সংবাদ//ঢ.ট.ন // ১৭.০৬.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :