সৌন্দর্যের মায়াজাল নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন পর্যটন লেক
একুশে সংবাদ : বৈচিত্র্যময় পাহাড়ি জেলা বান্দরবন এর রূপের জাদুর যেন শেষ নেই। প্রকৃতি তার আপন খেয়ালে এখানে মেলে ধরেছে তার সৌন্দর্যের মায়াজাল।
প্রকৃতি কন্যা বান্দরবন কখনোই নিরাশ করে না তার পর্যটকদের। এক নিরন্তর সৌন্দর্যের বৈচিত্র্যতায় সর্বদাই মোহের জালে আটকে রাখে ভ্রমণ পিপাসুদের।
বান্দরবানের পাহাড়, ঝর্ণা, লেক সবকিছুতেই রয়েছে বর্ণিল সৌন্দর্যের ছোঁয়া। আর তেমনই এক অপার্থিব সৌন্দর্যের জায়গা হল নাইক্ষ্যংছড়ির উপবন লেক।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ঘেঁষে উপবন লেকের অবস্থান। এটি একটি কৃত্রিম হ্রদ। বান্দরবন শহর থেকে ১২০ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটারের দূরে এই লেকটি অবস্থিত।
এ স্থানটি ইকো ট্যুর ও পিকনিক স্পট হিসাবে বেশ পরিচিত পেয়েছে। এই লেকের স্বচ্ছ জলে যেনো মুখ লুকিয়েছে নীল আকাশ। চার পাড়ের সবুজ বনানী মেলে সবুজ ডানা। সবুজ আর নীলের মাঝে লেকের বুক চিরে দাড়িয়ে আছে দেশের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতুটি।
অসাধারণ সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। একবার তাকালে চোখ ফেরানো যায় না। পাখির কলরবে মুখরিত চারিপাশ। এ যেন অরণ্যের মাঝে ফিরে আসা নতুন করে। একে আরো সৌন্দর্য্যমন্ডিত করে তুলেছে দৃষ্টিনন্দন সারি সারি বিভিন্ন প্রজাতির সবুজ পাতার গাছ গুলো। এখানে মাছ ধরা ও নৌকা ভ্রমণের সুবিধা রয়েছে।
ঝুলন্ত ব্রিজটির পাশেই একটি ছোট্ট উপজাতীয় পল্লী আছে। এখানে আছে ছোট ছোট বিশ্রাম ঘর, আর উঁচু-নিচু পিচঢালা পথ। বিশেষ করে রাতের নাইক্ষ্যংছড়ি দেখতে খুবি দারুণ।
এই লেকের চারপাশে বাঙ্গালী ও পাহাড়ি অধিবাসীদের বসতি দেখে আপনার মন জুড়িয়ে যাবে। সারি সারি কাঠের বাড়ি আর তাদের ভাষা-সংস্কৃতি আর আদি এই জনগোষ্ঠীর জীবন চিত্রের বিভিন্ন কিছু জানতে পারবেন।
যাওয়ার উপায় :
ঢাকা থেকে বাসে রামু বাইপাস নেমে সিএনজি ট্যাক্সি দিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় পৌঁছাতে হবে। তারপর রিকশায় বা হেঁটে উপবন পর্যটন লেকে পৌঁছাতে হবে।
যেখানে থাকবেন:
বান্দরবানে অসংখ্য হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও রেস্ট হাউজ আছে। যেখানে ৬০০ থেকে ৩০০০ টাকায় থাকতে পারবেন। কিছু উল্লেখযোগ্য রিসোর্ট ও হোটেল হলো- হলিডে ইন রিসোর্ট, হিলসাইড রিসোর্ট, হোটেল ফোর স্টার, হোটেল থ্রি স্টার, হোটেল রিভার ভিউ ইত্যাদি।
একুশে সংবাদ // এস.এস // ০৯.০৫.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :