ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের হাতেই থাকতে দিন :তথ্যমন্ত্রী
একুশে সংবাদ : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ছাত্রদের রাজনীতি ছাত্রদের হাতেই থাকতে দিন। ছাত্র রাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতিতে এনে জল ঘোলা করার অপচেষ্টা করবেন না, বরং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল কেন হারলো, সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করুন।
মন্ত্রী গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতার ৯৯তম জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জাতির পিতাকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সুসংহত করে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন, তখনই যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা তাঁকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
আর এখনও তারাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাক করা উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না। নির্বাচনে ভরাডুবির পর তারা এখন সংবাদ সম্মেলনের রাজনীতি করছে।‘কিন্তু এতে তাদের কোনো লাভ হয়নি, বরং ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল হারিয়ে গেছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ডান-বাম এমনকি অতি ডান-অতি বাম মিলেও ছাত্রলীগকে হারাতে পারেনি।
ড. হাছান বলেন, ‘স্মর্তব্য যে, দীর্ঘ প্রায় তিরিশ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। ছাত্রদের আবার সুস্থ রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার বাস্তব পদক্ষেপ।
এ সময় ‘বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, বাংলাদেশ আজ মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো’ উল্লেখ করে মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ক’টি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ জিডিপি-তে বিশ্বের ৪৩ তম দেশ, ক্রয়ক্ষমতা সূচক বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে বিশ্বের ৩১তম দেশ এবং আমাদের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৭৫২ ডলার আর পাকিস্তানের ১ হাজার ৬৪০, আমাদের রপ্তানি বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন।
আমাদের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৮ বছর আর পাকিস্তান ও ভারতের প্রায় ৬৮ ও ৬৯। অর্থাৎ সব সূচকেই বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে।
আর এ কারণেই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে সুইডেন বানাবার কথা বলেন, তখন সংসদ সদস্যরা তাকে ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মতো বানাবার পরামর্শ দেয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর বাবার দেশ কেনিয়ায় গিয়ে বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোর বাংলাদেশ থেকে অনেক শেখার আছে। ভারতের গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের লেখা নিবন্ধে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতির উত্থান স্থান পায়।’
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় ও ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ সভাপতি মোঃ খবির হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
একুশে সংবাদ // এস.পি.এই // ১৪.০৩.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :