উপন্যাস ,অপরাহ্নে বিসর্জন
লেখকের কিছু কথা
হাসি, কান্না, আনন্দ-নিরানন্দ নিয়েই মানব জীবন সমৃদ্ধ। জীবনের নিয়মে চলে জীবন। জীবন কখনও স্থবির হয়না, চলে অবিরাম, যেখানে বাধা আসে, সেই বাধাকে উপেক্ষা করে যে সামনে এগিয়ে যায় সেই স্বার্থক। মরন স্বাভাবিক জেনেও যে মরণে ভয পায়, মরনকে নিয়ে ভাবে, সে পৃথিবীর বুদ্ধিমানের কাতারের সব চেযে নিচু পর্যায়ের মানুষ। কারও জন্য বা কারও প্ররোচনায় অথবা মরনের ভয়ে জীবনকে স্থবির করে রাখা কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এটা অবশ্যই বোকাদের কাতারের। কেউ সাথে আছে বা নেই তাতে কিছই আসে যায় না। নিজেকে নিজের মত করে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।
নিজের শক্তি পৃথিবীর সব চেয়ে বড় শক্তি। অন্যের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করা বোকামী ছাড়া কিছুই নয়। এটা হলো নিজের টাকা অন্যের কাছে গচ্ছিত রাখার মতো। সময়ের প্রয়োজনে তা তুমি নাও পেতে পার। মনের শক্তি অনেক ক্ষমতাধর, তাই তোমার শারীরিক শক্তি কম হলেও মনের শক্তিকে কাজে লাগাও, এই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে তুমি। জীবনে যা পাওয়া যাবে তাই সম্পদ, নিজের সম্পদ। যে সম্পদের নিজস্বতা নেই, সেই সম্পদের কোন দাম নেই।
আমি বইটিতে এক নির্যাতিত, ধর্ষিতার জীবনের মাধ্যমে বুঝাতে চেয়েছি, ইচ্ছা থাকলে মানুষ নিজের মেধা এবং ক্ষমতা নিজের জীবনকে সুন্দর করে সাজিয়ে নিতে পারে। কোন বাধাই বাধা নয়, যদি মনের ইচ্ছা শক্তি অটুট থাকে।
র্যাক লিটন
প্রবন্ধকার, নাট্যকার, উপন্যাসিক ও কবি
একুশে সংবাদ // এস এস// ১২.১০.২০১৭
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :