নড়াইল থেকে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলা চীরচেনা খেলা- গরু দৌড় প্রতিযোগিতা
উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইল থেকে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী গ্রাম বাংলার চীরচেনা খেলা গরু দাবড় প্রতিযোগিতা এখন আর চোখে পড়ে না, তেমনি গ্রাম বাংলার একটি জনপ্রিয় যান গরুর গাড়ি আর চোখে পড়েনা আগের মত। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে গাড়িয়াল পেশাও। এখন গ্রাম -গঞ্জে আগের মতো চোখে পড়েনা গরুর গাড়ি। এক সময় নড়াইলের বিভিন্ন উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী ওই বাহনের সরগরম অস্তিত্ব ছিল। আমাদের নড়াইল প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ে পাঠানো তথ্য ও ছবির ভিত্তিতে জানা যায়। সর্বত্র ছিল গরুর গাড়ির কদর।কি বিয়ে, কি অন্য কোন উৎসব গরুর গাড়ি ছাড়া কল্পনাই করা যেত না। কাল ভেদে গ্রামীন মেঁঠো পথে গরুর গাড়ির চোখে না পড়লেও মাঝে মধ্যে দেখা মেলে
কিছুটা মহিষের গাড়ির।ঐতিহ্যবাহী ওই গাড়িটি টানছে ধান-চাল কিংবা ভাড়ি মালামাল। নড়াইল উপজেলাতেও এক সময় গরুর গাড়ী চলতো প্রতিনিয়ত। কিন্তু, এখন প্রত্যন্ত এই জনপদেও হারিয়ে যাচ্ছে গরুর গাড়ী। মাঝে-মধ্যে এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে দু-একটি গরুর গাড়ী চোখে পড়ে। কিন্তু এগুলোর অবস্থাও এখন জরাজীর্ণ। আধুনিক সভ্যতায় এতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে। এ কারণে শহরের ছেলে-মেয়েরা তো দূরের কথা, বর্তমানে গ্রামের ছেলে মেয়েরাও গরুর গাড়ি যানবাহনটির সাথে পরিচিত নয়। হবখালী ইউনিয়নের করিম জম্মাদার নামের এক বয়োবৃদ্ধ জানান, আগে বিয়ে বাড়ি বা মালামাল পরিবহনে গরুর গাড়ি ছিল একমাত্র ভরসা। বিশেষ করে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে আমাদের এলাকার
কুড়িঢোপ মাঠে ভিবিন্ন এলাক থেকে বিভিন্ন সাজে সাজানো বিভিন্ন রকমের গরু। অঞ্চলে হাওরের ধান ও খড়-কুটো পরিবহনে গরুর গাড়ির ভূমিকা ছিল অপরিসীম। গরুর গলায় ঘন্টা লাগিয়ে ছই উঠিয়ে এসব গরুর গাড়ি বিয়ে বাড়িতে নেয়া হত। কার গাড়ি আগে যাবে তা নিয়েও ছিল বিশেষ প্রতিযোগিতা। গ্রামের অবস্থাসম্পন্ন লোকজন ও গৃহস্থরা গরু গাড়ি ব্যবহার করতেন। কখনও কখনও তা আবার ভাড়ায় দিতেন । তারা বলেন, এখন আর গরুর গাড়ি নেই। গরুর গাড়ি এখন শুধুই স্মৃতি। যান্ত্রিক সভ্যতার যুগে এসে সেই জনপ্রিয় গরুর গাড়ি এখন বিলুপ্ত হওয়ার পথে।
একুশে সংবাদ /এস/১০-০৪-১৬
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :