বছর ঘুরে আবার এলো খুশির ঈদ
ঢাকা: “…আজ ভুলে যা তোর দোস্ত-দুশমন, হাত মেলাও হাতে,/তোর প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।...” হিংসা-দ্বেষ ভুলে সাম্য-সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার বার্তা নিয়ে বছর ঘুরে আবার এলো খুশির ঈদ।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় দেশের পশ্চিমাকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেছে। তাই শনিবার (১৮ জুলাই) উদযাপিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। রমজানের এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে শাওয়ালের চাঁদ ঘরে ঘরে এনে দিয়েছে ঈদের খুশির জোয়ার।
ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্য শনিবার একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই শামিল হবেন ঈদগাহ ময়দানে। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে মুসল্লিরা দুনিয়া-আখেরাত এবং দেশ-জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করবেন। এরপর সবাই কোলাকুলি করবেন।
ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকায় ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকলে সকাল ৯টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদ আনন্দ স্বজনদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে রাজধানী ঢাকা ছেড়েছেন লাখো মানুষ। প্রিয়জনের সান্নিধ্যে ঈদ উদযাপনে শত ভোগান্তি উপেক্ষা করে এই উৎসবে বাড়ি ছুটে গেছেন কর্মজীবী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। চির চেনা ঢাকার ব্যস্ত সড়কগুলো তাই এখন প্রায় ফাঁকা। একইভাবে দেশে ফিরে এসেছেন প্রবাসীরাও।
জেলায় জেলায় চলছে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি। চলছে ফিরনি-সেমাই রান্নার আয়োজন, স্বজনদের দাওয়াত দেওয়ার পর্ব।
ঈদ উদযাপন করতে রাজধানীর গাবতলী-মহাখালী-সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড, কমলাপুর-বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং সদরঘাটে এখনও ঘরমুখী মানুষের ভিড়। এসব জায়গায় শুক্রবার দিনভরই ছিল ঈদের আমেজ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় ছিল স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে আসা প্রবাসীদেরও।
ঈদ আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে শেষ মুহূর্তের কেনা-কাটায় ব্যস্ত রাজধানীবাসী। সবজি বাজারের পাশাপাশি ভিড় কমেনি শপিং সেন্টারগুলোতেও। সেমাই-চিনি-দুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কেনা-কাটার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে চলছে নতুন পোশাক আর জায়নামাজ-টুপি-আতর কেনা।
চাঁদ দেখার অপেক্ষায় থাকা অনেকেই বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানান, তারা ঈদের চাঁদ দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উদযাপন করতে রাতেই বাস, ট্রেন বা লঞ্চে বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হবেন।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :