AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সংলাপে আসুন, সমঝোতা করুন


Ekushey Sangbad

১১:০৯ এএম, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
সংলাপে আসুন, সমঝোতা করুন

একুশে সংবাদ : হিংসা আর হানাহানির রাজনীতি দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। মানুষের কাছে দায়বদ্ধতার কথা বাদই দিলাম, নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতার কথাও ভুলে গেছেন আমাদের দেশের প্রধান দুই দলের দুই নেত্রী। তাদের আদর্শহীন ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও সংঘাত জাতীয় অর্থনীতিসহ অন্য সব রাষ্ট্রীয় অর্জনকেই বিপর্যস্ত করে ফেলেছে। দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মইনুল ইসলাম ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত এক লেখায় মন্তব্য করেছেন, 'দেশ ক্রমেই অচল হয়ে পড়ছে। বর্তমানে দুই নেত্রীর জেদাজেদির প্রতিযোগিতায় ভাটার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রুটিনমাফিক দেশের বিভিন্ন স্থানে পেট্রলবোমার শিকার হয়ে মানুষ অঙ্গারে পরিণত হচ্ছে। অর্থনীতি আর বেশিদিন এ ধকল সামলাতে পারবে না।' এ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিকে সহিংসতার মোড়কে আবৃত করে জেল, মামলা, দেখামাত্র গুলির চিন্তাভাবনা ইত্যাদি দিয়ে সামাল দিতে চাইছে সরকার। এর উৎসে যেতে চাইছে না। বলতেই হবে, বর্তমান সঙ্কটের উৎস রাজনীতি- ক্ষমতার রাজনীতি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একপক্ষীয় বিতর্কিত নির্বাচন সেই রাজনীতিকে উসকে দিয়েছে। দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং তার জোটসঙ্গীরাসহ অন্য সমমনা দল সেই নির্বাচন বর্জন করেছে। নির্বাচন কমিশনে তালিকাভুক্ত ৪২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি দলই সেই সাজানো-পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবি করেছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে আমাদের সংবিধানের ৫৮(গ) অনুচ্ছেদে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাটি বলবৎ ছিল। ব্যবস্থাটি ছিল এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় তিন জোটের রূপরেখার একটি সম্মত সিদ্ধান্ত। বলা চলে, তা ছিল একটা সর্বদলীয় সিদ্ধান্ত। কিন্তু নবম সংসদে দানবীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে লীগ সরকার একদলীয় সিদ্ধান্তে সর্বদলীয় সেই সিদ্ধান্তটি পাল্টে দেয়। সরকারের বিরুদ্ধবাদীরাই শুধু নয়, আন্তর্জাতিক কোনো কোনো মহল থেকেও এ ধারণা ব্যক্ত করা হয় যে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন লীগ সরকার পুনরায় সরকার গঠন করার মতো জনসমর্থন পাবে না বলে নিশ্চিত হয়েই সংবিধান বদলে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, সংসদ বহাল রেখেই তারা ৫ জানুয়ারি তাদের 'সাজানো' মাঠে 'পাতানো' নির্বাচনের কাজটি সেরে নিয়েছে। সেই নির্বাচনে বিস্ময়কর বিষয় ছিল ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদের ১৫৩ আসনে কোনো ভোটাভুটিই হয়নি। অথচ আমাদের সংবিধানের ৬৫(২) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে যে, 'একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ হইতে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইনানুযায়ী নির্বাচিত তিনশত সদস্য লইয়া এবং এই অনুচ্ছেদের (৩) দফার কার্যকরতাকালে উক্ত দফায় বর্ণিত সদস্যদিগকে (সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যগণ) লইয়া সংসদ গঠিত হইবে; সদস্যগণ সংসদ-সদস্য বলিয়া অভিহিত হইবেন।' কিন্তু সরকার সংবিধানের এ শর্ত আমলে নেয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, 'সমঝোতায় এলে দশম সংসদ ভেঙে দিয়ে সংবিধান অনুযায়ী একাদশ সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা হবে; কিন্তু নির্বাচনের পর তার ও তার দলের নেতাদের কথার সুর পাল্টে গেছে। সঙ্কট ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এখান থেকেই। আবারও অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলামের কাছে ফেরত যেতে চাই। উল্লেখিত লেখায় তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, '২০১৯ সাল পর্যন্ত মহাজোট সরকার নাকি ক্ষমতায় থাকবে। এখন এক বছর পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও যখন আলোচনা ২০১৯ সালের নির্বাচনের এতো আগেভাগে শুরু করার কোনো যুক্তি নেই বলে ক্ষমতাসীন জোটের পক্ষ থেকে অনড় অবস্থান প্রকাশ করা হচ্ছে, তখন খালেদা জিয়ার ধৈর্যচ্যুতি ঘটলে তাকে অযৌক্তিক বলা যাবে কি? খালেদা জিয়া শেখ হাসিনাকে পুরো পাঁচ বছর নির্বিঘ্নে ক্ষমতায় থাকতে দেবেন, এটা আশা করা যায় না।' এমন এক পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার সঙ্গে লীগ সরকারের অগণতান্ত্রিক ও অশোভন আচরণ আগুনে ঘৃতাহুতির মতো হয়েছে। ওই দিন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালন করতে চেয়েছিল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শাপলা চত্বর বা নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ- এই তিন জায়গার যে কোনো এক জায়গায় জনসভা করার অনুমতি চেয়েছিল তারা। কিন্তু অনুমতি তো দেয়া হয়ইনি উপরন্তু খালেদা জিয়াকে প্রায় দুই সপ্তাহ তার গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তার কার্যালয়ের সামনে ইট ও বালির ১৩টি ট্রাক দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি, শত শত পুলিশ-র‌্যাবের ঘেরাও, গেটে তালা এবং অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে বেরুতে চাইলে তার ওপর আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর পিপার স্প্রে নিক্ষেপের তাবৎ দৃশ্য দেশ-দুনিয়ার মানুষ প্রত্যক্ষ করেছে। এরপরই আসে অবরোধ কর্মসূচি। আর এ কর্মসূচির মধ্যে বলুন কিংবা এর সুযোগ নিয়ে বলুন, সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। ককটেল ও পেট্রলবোমা নিক্ষেপ এবং ট্রেন, বাস, ট্রাক, লঞ্চে অগ্নিসংযোগের বর্বরতায় মারা যাচ্ছে এবং ঝলসে যাচ্ছে নিরীহ মানুষ। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে দগ্ধ মানুষের যন্ত্রণাদগ্ধ আর্তনাদে আল্লাহর আরশও নিশ্চয়ই কাঁপছে; কিন্তু দুই নেত্রীর হৃদয় পাষাণ, কিছুতেই যেন গলছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের মন্ত্রী-মিনিস্টার এবং শাসক লীগের নেতারা সহিংসতার সব দায় বিএনপি-জামায়াত জোটের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছেন, অন্যদিকে খালেদা জিয়া এবং তার দলের নেতারাও এ অভিযোগ অস্বীকার করে দোষ চাপাচ্ছেন লীগ সরকারের ওপর। তারা পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি করছেন; কিন্তু সহিংসতা অবসানে কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। সরকারি লোকজন লম্বা লম্বা কথা বলছেন। এ লেখা লিখছি ২৫ জানুয়ারি। ১৫ তারিখ থেকে সরকারপক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাত দিনের মধ্যে সব ঠান্ডা করে দেয়া হবে। বিএনপি আর মাঠে নামারই সুযোগ পাবে না। আশান্বিত হয়েছিল মানুষ। কিন্তু সবই ফাঁকা বুলি হয়ে গেল। মনে হচ্ছে, এ সহিংসতাকে সরকারও রাজনৈতিক পুঁজি করতে চাইছে। এটাকে ইস্যু করে তারা বিএনপি-জামায়াতসহ সরকারবিরোধী ভিন্ন মতাবলম্বীদের ওপর গ্রেফতার, হামলা, মামলা ও দমন-পীড়নকে জাস্টিফাই করতে চাচ্ছে। সুযোগ নিচ্ছে তাদের হীনবল, পারলে নিশ্চিহ্ন করে দিতে। কেউ কেউ এমন সন্দেহও পোষণ করেন যে, বিরোধীদের ওপর দমন-পীড়ন অব্যাহত রাখার সুযোগ কাজে লাগানোর কুমতলবে সরকারি কোনো মহল থেকে সহিংসতাকে উসকেও দেয়া হতে পারে। ২২ জানুয়ারি একুশে টিভির 'একুশের রাত' অনুষ্ঠানে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র থেকে এক ভদ্রলোক আমাকেই প্রশ্ন করেছিলেন, এ সহিংসতার জন্য আমি কাকে দায়ী মনে করছি। কিন্তু জবাবটা আমাকে দিতে না দিয়ে প্রশ্নকর্তাই এভাবে দিয়েছেন যে, 'একটা বহতা নদীতে যদি বাঁধ দিয়ে দেয়া হয় তার প্রবাহ আটকানোর জন্য, বাধাগ্রস্ত নদী প্রবাহ তো উপচে পড়ে দুই কূল ভাসিয়ে দেবে। তাতে ঘর-বাড়ি, ফসলাদি আর গবাদিপশুসহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে নদীকূলের নিরীহ, নিরপরাধ মানুষ। এ জন্য তারা দোষ দেবে কাকে? নদীকে, নাকি যিনি বা যারা স্বীয় স্বার্থে অবিবেচকের মতো নদীতে বাঁধ দিয়েছে তাকে বা তাদের। পাঠকরাও বিষয়টা ভেবে দেখতে পারেন। আরও ক্ষতি রোধ করার জন্য বাঁধ ভেঙে দেয়াটাই কী সমীচীন নয়? দেশে-বিদেশে সর্বত্রই বিবেকবান মানুষ বলছেন, রজনীতির নামে বা রাজনৈতিক কর্মসূচির সুযোগে চলমান সহিংসতার অবসান হোক। সবাই বলছেন, উদ্ভূত রাজনৈতিক সঙ্কট একদিকে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে, অপরদিকে জাতীয় অর্থনীতিসহ গর্ব ও অহঙ্কারের সব প্রাপ্তি ধ্বংসের মুখোমুখি নিয়ে এসেছে। ড. মইনুল ইসলামও এ নির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতি সুস্পষ্ট অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন। বিরোধী পক্ষ বিষয়টিকে রাজনৈতিক সমস্যা হিসেবে দেখলেও লীগ সরকার এবং তাদের অনুগ্রহ ও অনুকম্পাধন্যরা একে দেখছেন স্রেফ বিএনপি-জামায়াতের সৃষ্ট সহিংস তৎপরতা হিসেবে। উভয়ের পরস্পরবিরোধী এ বিভাজিত দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন না এলে চলমান সঙ্কট আরও বাড়বে বৈ কমবে না। আদর্শহীন ক্ষমতার লড়াই গণতন্ত্র ও সুশাসনের গণআকাঙ্ক্ষাকে পদদলিত করছে। আরও বিপজ্জনক ব্যাপার হচ্ছে, ক্ষমতাসীন লীগ সরকার তথা সরকারি দল এবং তাদের বেনিফিশিয়ারিরা বলতে চাইছেন যে, আপাতত গণতন্ত্রের চেয়ে উন্নয়নই বেশি জরুরি। অথচ গণতন্ত্রের শাশ্বত চাহিদা ও দাবিকে এবং এর ধারাবাহিকতাকে অগ্রাহ্য করে কোনো উন্নয়নই টেকসই ও জনকল্যাণধর্মী হয় না এবং তার সিংহভাগ শাসকচক্রের ক্ষমতাঘনিষ্ঠ সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজরাই ভোগ করে, তা আজ শুধু বিএনপি বা তাদের সহযাত্রী অন্যান্য বিরোধী দলেরই কথা নয়, এ কথা দেশ-বিদেশের সব চিন্তাশীল, জ্ঞানী আদর্শবাদী ব্যক্তি, সংঠন ও রাষ্ট্রেরও। শাসকচক্র এবং তাদের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই বলছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে যা ঘটে চলেছে তা অব্যাহত থাকলে সম্ভাবনাময় দেশটির সামনে এগিয়ে যাওয়ার সব পথই রুদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতিবিদরা যথার্থই বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশিদিন এই ধকল সামলাতে পারবে না। তাদের আশঙ্কা এ আভাসই দিচ্ছে যে, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দায় ইউরোপ-আমেরিকার মতো বড় বড় অর্থনীতিতে যেভাবে ধস নেমেছিল তা বাংলাদেশকে এতদিন স্পর্শ করতে না পারলেও ক্ষমতায় কাঙালদের বর্তমান লড়াই ও অনমনীয় মনোভাবের কারণে সৃষ্ট হিংসা আর হানাহানির রাজনীতি সেই সর্বনাশটা করে ছাড়বে। দেশের চিন্তাশীল দেশপ্রেমিক নাগরিকরা খোলামেলাই বলছেন, ইগো ত্যাগ করে অর্থপূর্ণ একটি সংলাপের মাধ্যমে বিবদমান পক্ষসমূহকে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছতে হবে। সমস্যাটা যে রাজনীতিক এবং এর সমাধানও রাজনৈতিকভাবেই হওয়া বাঞ্ছনীয়- সেই কথাও বলছেন তারা। বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীরাও আবার সরব হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে 'পলিটিক্যাল ক্রাইসিস ইন বাংলাদেশ : জানুয়ারি ২০১৫ আপডেট' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে জমা দেয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র নিয়ে খামখেয়ালিপনার অভিযোগ রয়েছে। তবে গণতন্ত্রের প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অঙ্গীকার নিয়েও অনেক বিশ্লেষকের প্রশ্ন আছে।' চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কার্যকর সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলের প্রধান জিন ল্যামবার্ট ২২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, 'সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে যা চলছে তা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। সব রাজনৈতিক দলকেই জনগণের অবাধ চলাফেরা, সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সরকার ও বিরোধী দল সবার কাছেই আমাদের এ প্রত্যাশা; যার অভাব আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি।' বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসনও সংলাপ ও সমঝোতার ওপর জোর দিয়েছেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের এশিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো লিসা কার্টিজ বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সঙ্কটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের লক্ষ্যে সরকার ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতির জন্য মূলত দায়ী গত বছরের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন। বাংলাদেশের বর্তমান সঙ্কট নিরসন করতে না পারলে এর পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে, এমনকি জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটতে পারে।' দেশে-বিদেশে বহু কণ্ঠে একই সুর। সংলাপে বসুন, সমঝোতা করুন। দুই নেত্রীর বিবেক যদি এতে জাগ্রত না হয় তাহলে কী হবে সে প্রশ্নের জবাব? জবাব একটা তো আছেই। তা কি তাদের কারও জন্যই সুখকর হবে? তবে, মানুষ সুখ না হোক অন্তত শান্তি চায়। এদেশে কেউ কি নেই মানুষকে শান্তি দেয়ার? কাজী সিরাজ : কলাম-লেখক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৬-০১-০১৫:
Link copied!