বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী দুবলা শুটকি পল্লীর ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়ার পর আকাশ মেঘলা ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ছে। এতে জেলে পল্লী দুবলা সহ বিভিন্ন চরে ব্যবসায়ীদের শুটকিতে পচণ ধরার আশংঙ্কা করছে তারা।
বন বিভাগ সুত্রে জানা যায়, এ বছর দুবলা জেলে পল্লীতে ১৬ জন বহদ্দার, ৬৪ টি ডিপো, ৯৬ টি দোকান, ১ হাজার ৩৫টি জেলেদের থাকার ঘর সহ ৮ থেকে ৯ হাজার জেলে শুটকী মৌসুমে দুবলা সহ বিভিন্ন চরে অবস্থান করছে।

জেলেরা জানায়, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলার রেঞ্জের দুবলা সহ কয়েকটি চর এলাকায় কয়েক হাজার জেলের সমাগম ঘটে। সেখান থেকে তারা কোটি কোটি টাকা শুটকি তৈরি করে দেশের বৃহত্তম বাজার চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে দেয়া হয়। আর সরকার এর থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। এ বছর মাছের পরিমাণ একটু বেশি দেখা যায়। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে বা নিম্নচাপে পরিণত হলে জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দুবলা জেলে পল্লীসহ তার আশপাশে কয়েকটি চরে শুটকিতে পচন ধরে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর উপরই তাদের একমাত্র ভরসা।
এ বিষয় দুবলা টহলফাড়ীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়ছে এ অবস্থা ২/৩ দিন অব্যাহত থাকলে শুটকি পল্লীতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :