মোরেলগঞ্জের জানা-অজানা কাহিনি
বর্তমান খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ উপজেলা বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ। ইংরেজ মোরেল পরিবারের নামে নামকরণ হয় এ উপজেলার।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/DCPkOUSXZG0bSzEhfv2o/images/312ca88029624fe1d763cc22bf44aefe37f0496312ada7d8.jpg)
জানা যায়, ১৮৪৯ সালে ইংরেজ মোরেল পরিবারের মিসেস মোরেল পানগুচি ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় সুন্দরবন বন্দোবস্ত (ইজারা) নিয়ে বন আবাদ করে বসতি গড়ে নীল চাষ শুরু করেন। তারপর সেখানে তারা বহু শ্রমিক নিয়োগ করে আবাদকৃত জমির পরিমাণ বাড়াতে থাকে।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/DCPkOUSXZG0bSzEhfv2o/images/5b04eb3624088bd4afb8905d2cdaf06c24e3de471f3e7144.jpg)
মোরেল ভ্রাতাদের মধ্যে সবচেয়ে বৈষয়িক ও কর্মী ছিলেন রবার্ট মোরেল। তার উপর দায়িত্ব ছিল সমস্ত জমিদারদের দেখাশুনা ও পরিচালনা করা। মোরেলরা বসবাস ও নিজেদের শাসন পরিচালনার জন্য তখন বিরাট পাকা ভবন নির্মাণ করেন। এই ভবনটির অস্তিত্ব এখনও আছে যাকে স্থানীয়ভাবে কুঠিবাড়ি বলা হয়।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/DCPkOUSXZG0bSzEhfv2o/images/b4fb8b60853b28712ecd379598282eef91370c7188606ec1.jpg)
তারা সেখানে বিরাট নারকেল সুপারির বাগান করেন এবং বাজার বসান। ক্রমে মোরেলদের নামানুসারে এ বাজারের নাম হয়ে যায় মোরেলগঞ্জ। পরে ইংরেজ সরকার কর্তৃক এ বাজারকে বন্দর হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সে সময় বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বিদেশি জাহাজ এসে ভিড়তো মোরেলগঞ্জ বন্দরে। পরে চর পড়ে যাওয়ায় ধীরে ধীরে এ বন্দর বন্ধ হয়ে যায়।
![](https://86818.cdn.cke-cs.com/DCPkOUSXZG0bSzEhfv2o/images/7037e1d5f2720fed36bd53d284e78a49510a446f2c3c58ed.jpg)
নীল, নীলকর নিয়ে এই মোরেল পরিবারের সাথে মিশে আছে অনেক কাহিনি। ১৮৬১ সালে কৃষক বিদ্রোহের এক রক্তাক্ত অধ্যায়, যার নায়ক ছিলেন কৃষক রহিমউল্লা। মোরেল পরিবারের ম্যানেজার হেলির গুণ্ডাবাহিনীর সাথে প্রবল যুদ্ধে বীরত্বের সাথে নিহত হন তিনি। পরে অবশ্য এই রহিমুল্লাহ হত্যার জের ধরে মোরেলগঞ্জ থেকে মোরেল পরিবারের শাসন গোটাতে হয়েছিল ১৮৭৮ সালে। কিন্তু শুধু কালের সাক্ষী হয়ে এখনও রয়ে গেছে ‘কুঠিবাড়ি’ নামে পরিচিত তাদের নীলকুঠি।
একুশে সংবাদ/ উকি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :