AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুন্দরগঞ্জে প্রচারণা জমে উঠলেও সারা নেই ভোটারদের


সুন্দরগঞ্জে প্রচারণা জমে উঠলেও সারা নেই ভোটারদের

তৃতীয় ধাপে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ঘোষিত তফশীল মোতাবেক ২৯ মে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। আর মাত্র পাঁচদিন বাকী রয়েছে। শেষ মর্হুত্বে জমে উঠেছে ব্যাপক প্রচারণা। কিন্তু ভোটারদের মাঝে নেই কোন সারা। পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার এবং রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকান গুলোর সামনে প্রচারণার মাইকের শব্দ যেন আকাশ বাতাস ভারি করে তুলেছে। বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি এবং ছন্দে ছন্দে মাইকিং করছেন প্রার্থীগণ। ইরি-বোর ভরা মৌসুমের ধান ও খড় শুকানোর কাজে মহাব্যস্ত গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ ভোটারগণ। কাজের চাপে ভোটের কথা তাদের মনে নেই বললে চলে।             

নির্বাচনে ৯ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ৫ জন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ১০ জন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে দুর্বল প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা যাচ্ছে না। স্ব-স্ব অবস্থান থেকে প্রার্থীগণ সকলে নির্বাচিত হওয়ার দাবি রাখছে। চেয়ারম্যান পথে একাধিক আওয়ামীলীগ  ও জাতীয় পাটির প্রার্থী থাকলেও নেতা-কর্মীগণ ব্যক্তি বিশেষ ভোট প্রদানের আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।           

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হচ্ছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম সরকার লেবু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বর্তমান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ সফিউল ইসলাম আলম, (যদিও তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন), উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ খয়বর হোসেন সরকার মওলা, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গোলাম কবির মুকুল। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা মহসিন সরদার, জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন লিখন মিয়া এবং মো. এরশাদ আলী।           

শান্তিরাম ইউনিয়নের প্রবীণ আওয়ামীলীগের সমর্থক  ও কর্মী মো. রফিকুল ইসলামের বলেন, যেহেতু এবারে দলীয় মার্কা নেই, সেইহেতু প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিক আওয়ামীলীগের ভাল নেতাকে বেঁচে নিয়ে ভোট দিতে হবে। অনেক প্রার্থী রয়েছে, নব্য ও হাইব্রিড আওয়ামীলীগ। তাদের ক্ষেত্র বিবেচনা করে ভোট দিতে হবে। তবে যেহেতু একাধিক আওয়ামীলীগ প্রার্থী সেক্ষেত্রে নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ একটু বিপাকে রয়েছে।          

বেলকা ইউনিয়নের সাধারণ ভোটার মো. রুহুল আমিনের বলেন, ভোটের আলোচনা শুধু মাইকিং, পোষ্টারে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভার মধ্যে সীমাবন্ধ। সাধারণ ভোটাদের মাঝে তেমন কোন সারা নেই। তার ধারণা ভোটের প্রতি মানুষের খুব বেশি আন্তরিকতা নেই বললে চলে।           

উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল ইসলাম সরকার রেজার বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় কোন চাপ বা নির্দেশনা নেই। সেক্ষেত্রে প্রার্থীগণ নিজ যোগ্যতা বলে সামনে এগিয়ে যাবেন। দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থগণ তাদের পছন্দের নেতাকে ভোট দিবেন। একাধিক দলীয় প্রার্থী থাকার কারণে অনেকে বিপাকে রয়েছে।               

চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম সরকার লেবু জানান, যেহেতু তিনি  দলের সাধারণ সম্পাদক সে কারণে সকল দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে নেতাকর্মীগণ তাকে পুনরায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।              

উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মিসেস আফরুজা বারীর বলেন, উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় নেতাকর্মীগণ কাজ করবেন। দলের বাইরে কাজ করার কোন সুযোগ নেই।              

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভোটারদের সুবিধার্থে ২৮টি ভোট কেন্দ্র বাড়ানো হয়েছে। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১১টি। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৩৯টি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ২২টি। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ১৫৯  জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন। তুলনামুলকভাবে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।               

উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোয়ার হোসেনের বলেন, ভোটারদের সুবিধার্থে উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। এতে করে ভোটাররা নির্বিগ্নে ভোট দিতে পারবে। নির্বাচন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

Link copied!