ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শেওড়া গাছের ডাল-পাতা কাটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মো.আব্দুল গণি (৬২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তিনি ওই গ্রামের মৃত মিয়া হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, নিহত আব্দুল গণির স্ত্রী মঞ্জিলা খাতুন, তার ভাই মোসলেম উদ্দিন (৬৫) , তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির আঙিনায় পুকুর পাড়ের শেওড়া গাছের ডাল-পাতা কাটাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুড়িয়ার-চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী নূরনবীর (৬০) সাথে তাদের বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলছিল। গত মঙ্গলবার সকালে আব্দুল গণির বাড়ির পাশের একটি শেওড়া গাছের ডাল কেটে পাতা নিতে আসে নূরনবী। এ সময় আব্দুল গণি ও তার ভাই মোসলেম উদ্দিন গাছের ডালপালা কাটতে নিষেধ করেন। এতে নূরনবী ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাই রতন, জহির উদ্দিন, হাসেম এবং তাদের ছেলেদের সাথে নিয়ে দেশীয় লাঠিসোঁটা নিয়ে আব্দুল গণি ও তার ভাই মোসলেম উদ্দিনের উপর হামলা চালায়। এসময় দুপক্ষের সংঘর্ষে আব্দুল গণি ও তার স্ত্রী মঞ্জিলা খাতুন, মোসলেম উদ্দিন এবং তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা গুরুতর আহত হন।
পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
নিহতের মেয়ে ছাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের লোকজন কম, তাদের লোকজন বেশি। এর আগেও কয়েকবার আমার বাবাকে মারধর করেছে। গতকাল মারধর করে আমার বাবারে জীবনে শেষ করে দিছে। আমরা হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ ফাঁসি চাই।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :