ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সব বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ। এই বর্ষবরণে মূল আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রা। প্রতি বছর বাংলা নতুন বছরের প্রথম সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রা বিশ্বব্যাপী বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম পরিচায়ক হয়ে উঠেছে।
আজ রবিবার সকাল ৯টা ৩০মিনিটে সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশায় ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন চত্বর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়।
শোভাযাত্রার আয়োজন করেন ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার স্লোগান ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’।
শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত- এ খুদা
শোভাযাত্রায় ভাঙ্গা উপজেলার রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সকল দাপ্তরিক প্রধান সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল চত্বর হয়ে ঘুরেফিরে উপজেলার সামনে দিয়ে শেষ হয়।
বাংলা বর্ষবরণের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরনো। তবে মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস খুব বেশি আগের নয়। আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে, মানুষ যখন তার খর্বিত মৌলিক, মানবিক অধিকার আর বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার জন্য সোচ্চার। ঠিক এই সময় হতাশা-যন্ত্রণার মাঝে আনন্দের দীপশিখা জ্বালিয়ে আশার বাণী শোনাবার জন্য এই শোভাযাত্রা শুরু হয়। মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়েছিল যশোরে ১৩৯২ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখে। যশোরের সেই শোভাযাত্রার আদলেই থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা পালিত হচ্ছে।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহান শাহ, ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জামান রাজা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন, ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার হোসেন, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার প্রলাথ কুমার বিশ্বাস, ভাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার রবিন সাহা ও রাজনৈতিক অরাজনৈতিক, নেতৃবৃন্দ সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :