রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৩টি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা প্রায় ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে পরীক্ষা উপকরণ ফাইল, স্কেল, কলম ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ ও অভিভাবকদের বসার সু-ব্যবস্থা (হেল্প ডেস্ক) করেছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি`র পক্ষে গোয়ালন্দ পৌর ছাত্রলীগ।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রয়ারি) সকালে গোয়ালন্দের ৩টি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পরীক্ষা উপকরণ ফাইল, স্কেল, কলম ও বিশুদ্ধ খাবার পানি বিতরণ করা হয়। এসময় গোয়ালন্দ পৌর ছাত্র লীগের সভাপতি রাতুল আহমেদ সজল, সাধারণ সম্পাদক আকাশ সাহা এবং ইসমাইল হোসেন মৃদুল কে দেখা যায় অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে এ সমস্ত সেবা প্রদান করতে। রাতুল আহমেদ সজল জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এই সেবা প্রতিদিন অব্যাহত থাকবে। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাথে আসা অভিভাবকদের বসার জন্য করা হয়েছে `অভিভাবক ডেস্ক`।
এখানে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষায় থাকা অভিভাবকরা বসে আছে।
জানা গেছে, এবছর গোয়ালন্দ উপজেলায় প্রায় চৌদ্দশত ছাত্র ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে। এর মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডে ১২৬ জন ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ১২৮ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। গোয়ালন্দ পৌর এলাকায় গোয়ালন্দ শহীদ স্মৃতি সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, গোয়ালন্দ নাজির উদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উজান চর ইউনিয়নে অবস্থিত দক্ষিণ উজান চর ইসলামিয়া আলীম মাদ্রাসায় অভিভাবক ডেস্ক স্থাপন করা হয়।
উপজেলার জমিদার ব্রীজ এলাকা থেকে আসা সালমা খাতুন বলেন তার মেয়ের পরীক্ষা দিতে আসায় তাকে সাথে আসতে হয়েছে। মেয়ের পরীক্ষায় থাকায় তাকে বাহিরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এত সুন্দর বসার জায়গায় করে দেওয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান কে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাছাড়া পরীক্ষার হলে আসা অন্যান্য অভিভাবক এমন ব্যাতিক্রম আয়োজনের প্রশংসা করেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, এমন ব্যাতিক্রম ও চমৎকার আয়োজনের জন্য উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দুর দুরান্ত থেকে যে সমস্ত অভিভাবক আসতো তাদের কে তিন সাড়ে ৩ ঘন্টা বাইরে অপেক্ষা করতে হয়। তাদের বসার এবং খাবার পানির ব্যবস্থা করায় ভালো হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটা একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি বলেন, দূরদূরান্ত থেকে অনেক অভিভাবক এসে এলোমেলো ঘোরাফেরা করে তাদের বসার একটা ভালো ব্যাবস্থা করতে পারলে তাদের সময়টা ভালো কাটে। তাছাড়া অনেক ছাত্র ছাত্রী আছে দরিদ্র যাদের একটা স্কেল, কলম এবং ফাইল দিলে উপকার হয় এবং প্রবেশ পত্রসহ সব কিছু নিরাপদ থাকে।
একুশে সংবাদ/জ.ই.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :