রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের প্রেমটিয়া গ্রামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করে ঘরের বারান্দায় ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে মরদেহ ঘরের বারান্দায় দেখে পুলিশকে খবর দেয় প্রতিবেশীরা। ওই বৃদ্ধার নাম আশালতা দাস। তার স্বামীর নাম মৃত সন্তোষ দাস।
জানা যায়, আশালতা দাসের দুই মেয়ে। তাদের অনেক আগেই বিয়ে হয়েছে। মেয়ে-জামাই, নাতি-নাতনি সবাই পাংশা শহরে থাকে। গ্রামের বাড়িতে একা বসবাস করতেন আশালতা দাস। পুরাতন বাড়িতে পুকুর, মাঠের জমি ছাড়াও বাগান রয়েছে।
আশালতার দান করা জমিতে বিদ্যালয়, হাট বাজার হয়েছে। এসব দেখাশোনা করার জন্য লোক ছিল। সকালে বাড়ির কাজের লোক আশালতা দাসের মরদেহ ঘরের বারান্দায় পরে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়।
আশালতা দাসের প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক দিপক দাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে আশালতা দাস বাড়িতে একা বসবাস করতেন । মঙ্গলবার সকালে বাড়ির কাজের লোক গেটে গিয়ে ডাকলেও তার কোনো সারা পায়নি। পরে অন্য পাশ দিয়ে দেখেন আশালতার মরদেহ বারান্দায় পরে আছে।
তিনি আরও জানান, অনেক কৃষি জমির মালিক আশালতা। তবে এলাকায় কারো সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা ছিল না। এলাকার মধ্যে তাকে সবাই সম্মান করতো।
সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার বিশ্বাস বলেন, এলাকার মধ্যে এটি ঠাকরুন বাড়ি হিসেবে পরিচিত। সেই বাড়ির মালিককে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে খুব মর্মান্তিক। প্রশাসনের কাছে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনা জানার পরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি নিজেও যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে বলতে পারবো।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :