রোজার বাকি প্রায় দুই মাস। এর মধ্যে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা মসুর ডালের দাম কেজিতে বাড়িয়েছেন ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ফলে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) ভাঙ্গুড়া উপজেলার শরৎনগর ও ভাঙ্গুড়া বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
বিক্রেতারা জানান, রোজার আগেই সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ে। তবে এবার আমদানি নির্ভর সব পণ্যের দাম আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে।
নুরুজ্জামান সবুজ নামের একজন ক্রেতা বলেন, মসুর ডালের দাম বেড়েই চলেছে। রমজানের আগেই দাম বেড়ে যাওয়া সুখবর নয়। কেন বাড়ছে, তা খুচরা বিক্রেতারা জানবে না এটাই স্বাভাবিক।
উপজেলার শরৎনগর বাজারের মুদি দোকানি মোহাম্মদ আলী জানান, দেশি মসুর ডাল এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে তিনি পাইকারি দরে কিনেছেন ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়। সে ডাল তাদের কিনতে হচ্ছে ১০৫ টাকায়। আর তিনি বিক্রি করছেন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়।
এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর পাবনার সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি জানান, রমজান মাস এলে চাহিদা বাড়ায় খুচরা বিক্রেতারা পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দেন। ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে এ বছর যাতে অতিরিক্ত বাড়াতে না পারেন, সেজন্য আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা-সব পর্যায়ে বাজার তদারকি করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :