এম এ হান্নান শাহজাদপুর, (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: বিচার চলমান প্রতিটি মামলার বিচার প্রার্থী বাদি ও আসামিরা মামলার ধার্য তারিখে আদালতে আসেন হাজিরা দিতে। আদালতের কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ সময়।আদালতের প্রতি সম্মান দেখিয়ে খালি পায়ে কাঠগড়ায় ওঠেন বিচারপ্রার্থীরা। শীতের দিনে খালি পায়ে কাঠগড়ার ঠান্ডা মেঝেতে দাড়িয়ে থাকা বিচার প্রার্থীদের কষ্ট দূর করতে কাঠগড়ায় কার্পেট বিছানোর ব্যবস্থা করেছেন এক বিচারক।
মানবিক এই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম রব্বানী। আদালতের কাঠগড়ার মেঝেতে নিজ অর্থায়নে কার্পেট দিয়েছেন মানবিক এই বিচারক, যা রীতিমতো প্রশংসা কুড়াচ্ছেন । ড়গত বুধবার তিনি তাঁর এজলাসের কাঠগড়ায় কার্পেট বিছিয়েছেন। তাঁর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের লোক।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সবাই বিচারক গোলাম রব্বানীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে শীতের তীব্রতায় শাহজাদপুরেও তীব্রতা অনেক বেশি কয়েকদিন হলো রোদের দেখা নাই বললেই চলে। কাঠগড়ার মেঝে শীতের দিনে খুবই ঠান্ডা হয়ে যায়। এতে আসামিদের অনেক কষ্টে সেখানে থাকতে হয়। বিশেষ করে স্বাক্ষ্য গ্রহন হয় এমন মামলায় বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘ সময় কাঠগড়ায় দাড়িয়ে থাকতে হয়। বিচারপ্রার্থীদের শীতের কষ্ট অনুভব করেই বিচারক কার্পেট বিছানোর উদ্যোগ নেন।
শাহজাদপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আদালতের কাঠগড়ার মেঝেটি টাইলস করা। এ জন্য সেখানে শীতের সময় প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভূত হয়। আদালতের বিচারক, আইনজীবীসহ সব কর্মকর্তা-কর্মচারী জুতা পড়েই থাকেন। কিন্তু বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘ সময় জুতা খুলে কাঠগড়ার শীতল মেঝেতে দাড়িয়ে থাকতে হয়। বিষয়টি বিচারক গোলাম রব্বানী স্যারের নজরে পড়ার পর তিনি নিজ অর্থায়নে কাঠগড়ায় কার্পেট বিছানোর ব্যবস্থা করেন।
শাহজাদপুর চৌকি আদালতের সহকারি সরকারি কৌসুলি মো: আ: আজিজ জেলহক বলেন, এই শীতে ‘আদালতের কাঠগড়ায় বিচারপ্রার্থীদের কষ্টের কথা বিবেচনা করে কার্পেট বিছানো অবশ্যই প্রশংসনীয়। বিজ্ঞ বিচারকের এ ধরনের মানবিক কাজ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :