লক্ষ্মীপুরে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে ৯১১ টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪১ টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাকী ৫০ টি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ক্ষেতে থাকা কাঁচাপাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। ১৮ নভেম্বর (শনিবার) বিকেল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুত ও মোবাইল নেটওয়ার্ট চালু করা সম্ভব হয়নি।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা ইউনুস মিয়া বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, ঝড়ে ২৪১ টি বসতঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫০ টি কাঁচাঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ বেশী।
জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো: জাকির হোসেন বলেন, জেলাতে ১১৮৩ হেক্টর শীতকালিন সবজি, ১৮৭০৪ হেক্টর রোপা আমন,৩৮১ হেক্টর সয়াবিন ব্রিজ ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রামগতি উপজেলার চর আবদুল্লাহ এলাকায় ৫ মে:টন জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে।
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ে জেলার বিভিন্নস্থানে আমাদের শতাধিক খুঁটি পড়ে গেছে। গাছপালা পড়ে তিনশোর বেশি স্পটে তার ছিঁড়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে টান্সফরমারে সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ সরবাহ স্বচল করতে আমাদের কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছে।
অনেক এলাকায় এখনো বিদ্যুত সংযোগ সচল করা সম্ভব হয়নি। জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, ক্ষয় ক্ষতি রিপোর্ট দূযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রালয় থেকে বরাদ্দ পেলে ক্ষতি গ্রস্থদের তালিকা করে সহযোগীতা করা হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে গাছ ও বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান সমূহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :