ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান বলেছেন কোনো এলাকায় জরিপ শুরু হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের গুরুত্ব সহকারে অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য যথাযথ প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমান আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের পুরাতন ভবনের প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত জেডএসও সম্মেলন ও অধিদপ্তরের দ্বি-মাসিক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করার সময় উপস্থিত জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারদের উদ্দেশে এই কথা বলেন।
এসময় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আব্দুল বারিক উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, সংশ্লিষ্ট জমির মালিক ছাড়াও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অংশী-জনদেরও এক্ষেত্রে (জরিপ শুরু হলে) গুরুত্ব সহকারে অবহিত করতে হবে। জরিপ সম্পর্কিত অনেক সমস্যা কেবল তথ্যের অভাবের কারণে দেখা দেয়। একইসাথে আমাদের সবার- যাদের কমবেশি জমি আছে তাদেরও সচেতন থাকতে হবে যে কখন জরিপ শুরু হয়- ভূমি সচিব যোগ করেন।
সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ভূমি সেবা চালুর পর থেকে আমাদের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, সিস্টেম যত বেশি স্বয়ংক্রিয় ও স্বচ্ছ হয়, তা তত বেশি টেকসই হয় এবং একইসাথে দুর্নীতির অভিযোগ কমে। এজন্য আমরা জরিপ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছি।
সচিব নাগরিকদের সুবিধার্থে যত দ্রুত সম্ভব জরিপ সংক্রান্ত মামলার জন্য একটি অনলাইন শুনানির ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ভূমি সচিব আরও উল্লেখ করেন, আমরা জনগণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ- তাদের জমি নিয়ে কাজ করি। ভূমিসেবা ব্যবস্থা এবং ডাটাবেস, নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশনের শুরু থেকেই আমরা ভূমি সেবা ব্যবস্থার সাইবার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং জরিপ ও রেকর্ড ডিজিটাইজেশন সংশ্লিষ্ট ভেন্ডার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রসঙ্গত, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মাঠ পর্যায়ে ভূমি জরিপ (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) ও রেকর্ড প্রস্তুত, পরিচালনা, সংগঠন, ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধান করে থাকেন। জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের আওতায় সারা দেশকে ১৯টি জরিপ এলাকায় ভাগ করা হয়েছে যার প্রধান আঞ্চলিক অফিস হচ্ছে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস। এছাড়া, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় নতুন জেগে উঠা চর ভূমির দায়িত্বে আছে একটি দিয়ারা অপারেশন অফিস। জেডএসও-এর অধীনে চার্জ অফিসার, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সার্ভেয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করেন।
গত ৩ আগস্ট, ২০২২ পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে - বিডিএস)-এর পাইলটিং-এর উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। খুব শীঘ্রই সারাদেশে একযোগে বিডিএস রোল-আউট করা হবে। বিডিএস এর সফল বাস্তবায়নে জেডএসওদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :