ঝর্না আর পাহাড়ের দেশ সীতাকুন্ড
একুশে সংবাদ: বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলার নাম সীতাকুন্ড। ঢাকা থেকে সীতাকুন্ড এর দূরত্ব প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার।সীতাকুণ্ড উপজেলার আয়তন প্রায় ২৭৩.৪৭ বর্গ কিলোমিটার।
সীতাকুণ্ড প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অন্যতম একটি তীর্থস্থান।পূর্বদিকে সুবিশাল সমুদ্র, চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে প্রাচীন মন্দির আর পাহাড়ি ঝরনা। মেঘ-পাহাড়ের সীতাকুণ্ডে সারা বছরই মেঘের খেলা করে।
চারদিকে চিরহরিৎ সবুজের বাগান, ছোট-বড় পাহাড়-টিলা সব মিলিয়ে অপরূপ- চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের নাম আসলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পাহাড় ও সমুদ্রের মিলনে এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।সীতাকুণ্ডের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম চন্দ্রনাথ পাহাড়।এ ছাড়া সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, একমাত্র গরম পানির ঝরনা ছাড়াও আশপাশের এলাকা অসাধারণ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর।
কিভাবে যাবেন :
এস.আলম,সৌদিয়া,গ্রীনলাইন,সিল্ক লাইন, সোহাগ, ইউনিক ইত্যাদি পরিবহনের বিভিন্ন এসি বা ননএসি বাস গুলো সায়দাবাদ বা স্টেশন থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।সব গুলো বাসই সীতাকুন্ডে প্রয়োজন অনুযায়ী থামে। বাসে করে ঢাকা থেকে আসলে সীতাকুন্ড বাস স্টপেজ থেকে ২কি.মি. দূরে ফকিরহাট নামক জায়গা দিয়ে সীতাকুন্ড যেতে হয়।
কোথায় থাকবেন : সীতাকুণ্ডে পর্যটকদের থাকার ভালো ব্যবস্থা নেই।সীতাকুন্ড বাজারে কয়েকটি মাঝারি মানের আবাসিক হোটেল আছে।আর তাছাড়া সারা দিন ঘোরাঘুরি করে রাতে চলে আসতে হবে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম শহরের যে কোনো মানের হোটেল বা রেস্টুরেন্ট পেয়ে যাবেন।এদের মধ্যে হোটেল প্যারামাউন্ট, হোঠেল এসিয়ান এস আর, হোটেল সাফিনা, হোটেল নাবা ইন, হোটেল ল্যান্ডমার্ক উল্লেখ যোগ্য।এছাড়া থাকা-খাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম শহরে বিভিন্ন মান ও দামের আবাসিক হোটেল-মোটেলের সুব্যবস্থা রয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ হল, ঝরঝরি ঝর্ণা, কমলদহ ঝর্ণা, চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মন্দির, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক, গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত, বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, কুমিরা ঘাট।
একুশে সংবাদ//আ.ব.ন//০৯.০৭.২০১৯
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :