ঢাকা: বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জয়ের বিকল্প কিছুই ভাবছে না বাংলাদেশ। আগামীকাল আইসিসির সহযোগী সদস্য স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে টাইগাররা। স্কটিশদের হারানোর মাধ্যেমে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার বাধা পেরিয়ে যেতে যায় মাশরাফিবাহিনী।
১৯৯৯ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেই এসেছিলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়। ওই ম্যাচে ২২ রানে স্কটিশদের হারিয়েছিলো টাইগাররা।
১৬ বছর বছর পর নিউজিল্যান্ডের নেলসনের সেক্সটন ওভালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর চারটায় মুখোমুখি হচ্ছে তারা।
২০০৬ সালে অবশ্য দ্বিপক্ষীয় সিরিজে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড দু’বার মুখোমুখি হয়। দুটি ম্যাচেই সহজ জয় পায় টাইগাররা।
চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের ভেন্যুতে বাংলাদেশের এটিই প্রথম ম্যাচ। আয়ারল্যান্ড এ মাঠেই ৩০৪ রান টপকে হারিয়েছিল শক্তিশালী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচের উইকেটও ব্যাটিং সহায়ক হবে।
উভয় দলই এবারের বিশ্বকাপে তিনটি করে ম্যাচ খেলেছে। তিন ম্যাচে একটি জয়, একটি হার ও একটি পরিত্যক্ত ম্যাচ নিয়ে বাংলাদেশের অর্জন তিন পয়েন্ট।
অন্যদিকে, স্কটল্যান্ড কোনো ম্যাচে জয় না পেলেও, লড়াই করার সামর্থ আছে দলটির। শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয়ের কাছাকাছি গিয়ে বঞ্চিত হয়েছে তারা।
স্কটিশ ব্যাটসম্যানদের স্পিনে দুর্বলতা থাকায় একজন স্পেশালিস্ট স্পিনার নেওয়া হতে পারে বাংলাদেশের একাদশে। সেক্ষেত্রে একজন ব্যাটসম্যান কমিয়ে দেবে বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট।
মুমিনুল হকের জায়গায় আরাফাত সানি ও তাইজুল ইসলামের মধ্যে যেকোনো একজনকে দেখা যেতে পারে এ ম্যাচে। স্কটল্যান্ড দলে পরিবর্তনের কোনো আভাস নেই।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় ছাড়া কিছুই ভাবছেন না। এ ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস কাজে লাগাতে চান ইংল্যান্ড ম্যাচে।
তিনি বলেন, জয় ছাড়া অন্যকিছু আশা করছি না। শ্রীলংকার সাথে ম্যাচ হারায় আত্মবিশ্বাস কিছুটা কমেছে। তাই এ ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য প্রস্তুত থাকতে চাই।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচে চার হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার হাতছানি বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবালের সামনে। এই মাইলফলকে পৌঁছাতে আর মাত্র ১০ রান প্রয়োজন তার। ১৩৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৩৯৯০ রান করেছেন বাঁহাতি এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।
আপনার মতামত লিখুন :