সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব কমিটির ভ্যার্চুয়াল সেমিনার সম্পন্ন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ৭ এপ্রিল, ২০২১

বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দঘণ পরিবেশে বাংলাদেশ ও প্রবাসের বিভিন্ন দেশ থেকে  সতস্ফুত আংশগ্রহনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মহাণ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব আন্তর্জাতিক সার্বজনীন উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে গত বুধবার  ইউ কে বিডি টিভিতে  বিশেষ আন্তর্জাতিক ভ্যার্চুয়াল সেমিনার কবিতা আবৃত্তি  ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

বাংলাদেশের মহাণ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব আন্তর্জাতিক সার্বজনীন উদযাপন কমিটির আহব্বায়ক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা  সুলতান মাহমুদ শরীফ এর সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশের মহাণ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব আন্তর্জাতিক সার্বজনীন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান কমিউনিটি লিডার সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের মহাণ স্বাধীনতার  আন্তর্জাতিক সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন.বাংলাদেশের  ১৪ দলের সমন্বযক ও মূখপাত্র এবং সাবেক সফল মন্ত্রী বর্ষীয়ান জননেতা আমির হোসেন আমু এম পি।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী সাবেক সচিব  জননেতা এম এ মান্নান এমপি. বৃটেনের বাংলাদেশের হাই কমিশনার হ্যার এক্সেলেন্সি সাঈদা মুনা তাসনিম. বৃটেনের  টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পীকার মোহাম্মদ আহবাব হোসেন ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিষ্টার এম  আশিকুন্নবী চৌধুরী। 

ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল আলম লিংকন. ও  ইউকে বিডি টিভির কালচারাল ডিরেক্টর হেলেন ইসলাম এর সাবিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্টিত  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী হিমাংশু গোস্বামী. মোস্তফা কামাল মিলন. জিনাত মান্নান।

রাশেদা খান বানু. অসিমা দে. শেখ নুরুল ইসলাম. নিগার আজম. ফিরুজ মিয়া.ও বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে আমি ধন্য হয়েছি আমি পূর্ণ হয়েছি; বঙ্গবন্ধুর  বাংলাদেশে জন্ম নিয়েছি.এই গান পরিবেশন করেন নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধি শিশু শিল্পী তানজিম বিন তাজ প্রত্যয়. তরা দে ও মিশেল দে.  কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তি শিল্পী শ্রাবন্তী বড়ুয়া. লিপি হালদার. জিনাত মান্নান. প্রমি দেব. কানিজ রহমান রেশমা. বংশী বাদক মমি চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।

মহাণ স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক সুবর্ণজয়ন্তীর এই সফল অনুষ্ঠানে  বাংলাদেশ ছাড়া ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে  বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাধারন সম্পাদক  এম এ সালাম, ডেক্স্টন ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন এর প্রোফেসর ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা  ডা: জিয়া উদ্দীন আহমদ. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দীন. যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী. ইউকে বিসিএর প্রেসিডেন্ট এম এ মুনিম. ন্যাদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাদাত হোসেন তপন. নিউইয়র্ক ষ্টেট আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিন আজমল। 

মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি  নাট্যকার  আব্দুল মতিন. যুক্তরাজ্য টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মোস্তফা কামাল মিলন. যুক্ত রাজ্য আওয়ামী লীগের জনসংযোগ বিষয়ক সম্পাদক  রবিন পাল. প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক আনসারুল হক. যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ সভাপতি শামসাদুর রহমান রাহিম. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল আহমদ খান. শেখ মাহমুদ তালুকদার. মোহাম্মদ শাহজাহান.  ওয়েস কামালী.  শেখ জাফর আহমেদ.  আফজাল মোহিত. মুহিব উদ্দিন চৌধুরী. সায়স্তা মিয়া. মমি চৌধুরী. এম এ সালাম. আব্দুল আলিম.  মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন. আজিজুল আম্বিয়া.  ফয়জুর রহমান আবুল. শেখ সালামত তালুকদার.   জয়নাল ইসলাম.  গিয়াস আহমদ. রাধা কান্ত ধর. আব্দুর রুউফ তালুকদার.  এস এস চান রহমান. নজরুল ইসলাম. মোহাম্মদ আব্দুল ওয়ালী. নজরুল তরফদার ফারুক. নিউপোট যুবলীগের সভাপতি শাহ শাফি কাদির, ইউকে বিডি টিভির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নুরুল ইসলাম.  শিশু শিল্পী প্রত্যয় এর মা - জননি নিলরুবা খানম সুমি. ও ইউকে বিডি টিভির জনপ্রিয় উপস্থাপিকা হেলেন ইসলাম সহ যুক্তরাজ্য সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।পরিশেষে নেতৃবৃন্দ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে
এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে  সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ও বঙ্গবন্ধুর উপর কবিতা আবৃত্তি ও এবং জাতীয় সংগীত  পরিবেশনের মধ্য  দিয়ে সমাপ্ত হয়।

বাংলাদেশের মহাণ স্বাধীনতার  আন্তর্জাতিক সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথি বাংলাদেশের  ১৪ দলের সমন্বযক ও মূখপাত্র এবং সাবেক সফল মন্ত্রী বর্ষীয়ান জননেতা আমির হোসেন আমু এম পি সহ সকল  বক্তারা বাঙালির কাছে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরকাল অম্লান, অক্ষয় ও অমর হয়ে থাকবে। স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তাঁর কীর্তিময় জীবনালেখ্য। তাঁকে শ্রদ্ধাভরে কেবল স্মরণই নয়, তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়েই সত্যিকারভাবে জানাতে হবে শ্রদ্ধা।

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে জাতির জন্য এক ‘অনন্য উপহার’।

“টেকসই উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে মাথা উচু করে দাঁড়াবে, ইনশাআল্লাহ।”

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা ভারত ছাড়লে মুক্তি মেলেনি বাংলার মানুষের। জীবন ছিল পাকিস্তানি  শেকলে বাঁধা। সেই শেকল ভাঙার মন্ত্র দিয়ে বাঙালিকে জাগিয়ে তোলেন শেখ মুজিব। বাংলার মানুষ যাকে ভালবেসে নাম দেয় বঙ্গবন্ধু।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর বজ্রবাণীর পর ২৫ মার্চ ঢাকায় যে বিভীষিকা নামিয়ে এনেছিল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী; তা একটি প্রতিরোধ যুদ্ধের মুখোমুখি করে দেয় বাঙালিদের।

২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বেতারবার্তায় যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন, সেই মুহূর্তে ঘোর অন্ধকার, হানাদারের গুলি আর বেয়নেটে ক্ষতবিক্ষত দেশ। চলে নয় মাসের তীব্র লড়াই। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত, অসংখ্য নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে আসে সেই স্বাধীনতা।
তারপর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশে ফেরার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা আসে স্বাধীনতার; পরম শ্রদ্ধায় তাকে জাতির পিতা হিসেবে বরণ করে নেয় নতুন দেশ।

স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ষড়যন্ত্রের জালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটে। এরপর বাংলাদেশের উল্টোযাত্রা শুরু হলেও কয়েক দশক বাদে ক্ষমতায় ফিরে বাংলাদেশকে পথে ফেরানোর দায়িত্ব নেয় স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়া আওয়ামী লীগ।
উচ্চ প্রবৃদ্ধি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠা, দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নানা সূচকে অগ্রগতির পর বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশের কাতারে পৌঁছানো।

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা পাওয়া বাঙালির গত ৫০ বছরের চলার পথও মসৃণ ছিল না। শত বাধা অতিক্রম করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই এগিয়ে যাওয়ার অফুরন্ত প্রাণশক্তি এ দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, প্রবাসী কর্মীরা। খেটে খাওয়া মানুষের শ্রমে-ঘামে গড়ে উঠছে অর্থনীতির ভিত।

বক্তাগন তাদের বক্তব্যে  ২৫ মার্চ কালরাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আধুনিক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর আক্রমণ শুরু করে। অপারেশন সার্চ লাইটের নামে শুরু করে নির্বিচারে গণহত্যা। এই গণহত্যা শুরু হওয়ার পরপরই ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এই ঘোষণার বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। তাৎক্ষণিকভাবে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ৷ ২৫শে মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া হত্যাযজ্ঞের ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশিরা এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে৷ ঐ রাতেই তৎকালীন পূর্ব বাংলার পুলিশ, ইপিআর ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা শুরু করে প্রতিরোধ যুদ্ধ, সঙ্গে যোগ দেয় সাধারণ মানুষ৷ ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় স্বাধীনতা৷ জন্ম হয় বাংলাদেশের৷

বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুধু এ দেশের জনগণই নয়, আক্রান্ত জাতি ও সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়ায় এবং বাংলাদেশের পক্ষে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেয় প্রতিবেশী দেশ ভারত। মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র, আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে সহায়তা করে ভারত। এই সময় আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক পরিসরে বিশাল ভূমিকা রাখে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (রাশিয়া)। সোভিয়েত ইউনিয়নের এই ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে আরও ত্বরান্বিত করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শনপূর্বক উল্লেখ করেন যে,  টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম নেয়া যে ছোট খোকা একদিন বাংলাদেশেরমানুষের মুক্তির মহানায়কে রূপান্তরিত হয়েছিলেন তাঁর ভালবাসার শিক্ষা ও অধিকার আদায়ের চেতনা থেকে সকলকে শিক্ষানেওয়ার আহবান জানান। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ন্তে বসবাসরত বাংলাদেশীদেরকে স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুরস্বপ্নের সোনার বাংলা 
গড়ার কাজে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে কর্মক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে দেশের ভাবমূর্তিউজ্জ্বলকরণে সর্বাত্মক আত্মনিয়োগ করার আহবান জানানো হয়। তারা বলেন আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সুযোগ আর নেই। এখন শুধু আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পালা।সব বাধাবিপত্তিঅতিক্রম করে এ দেশকে আমরা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শোষণ-বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবই, ইনশাআল্লাহ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে সকলকে সহযোগীতার আহ্বান জানানো হয় আলোচনা সভা  থেকে।। 

এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর , সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে লন্ডনের ব্যার সিটি হিসেবে খ্যাত,সুপ্রসিদ্ধ , সুউচ্চ বেল্ডিং এ মনোরম সিটি , ক্যানারী ওয়ার্ফ গত ২৯ শে মার্চ সন্ধ্যা অনুস্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের পতাকার রং লাল সবুজের রং এ সাজানো হয় ক্যানারী ওয়ার্ফের পানির ফোয়ারা এবং সুউচ্চ ক্যানাডা ওয়ান বিল্ডিং এর সুউচ্চ ছাদের চতুর পাশে লাল সবুজের লাইটে আলোক উজ্জ্বলিত হয়।

বিশ্বময় উদযাপিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব;

একটি বাংলাদেশ; তুমি জাগ্রত জনতার;
সারা বিশ্বের বিস্ময় ; তুমি আমার অহংকার।

এছাড়া ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটেন-বাংলাদেশ এর  সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের আরো সমৃদ্ধি সাফল্য কামনা করে জনগণ, সরকার এবং ব্রিটিশ-বাংলাদেশীদের অভিনন্দন এবং শুভেচ্ছা জানান ভিডিও বার্তায়।

এদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ব্রিটেনের বিভিন্নস্থাপনা ও ভবন আমাদের লাল সবুজ জাতীয় পতাকার  রঙে লাল সবুজে আলোকিত করা হয়। স্থাপনা ও ভবনগুলোর মধ্যে অন্যতম টেমস্ নদীর তীরে  London eye,  Millennium Bridge in Newcastle, Cardiff Castle  লাল সবুজ রঙে আলোর প্রতিফলনে আলোকিত করা হয়। 

এছাড়া ও সকল বক্তারা ভার্চুয়ালি  আজকের আন্তজার্তিক এই  অনুষ্ঠান আয়োজন করায় ইউকে বিডি অনলাইন টিভির চেয়ারম্যান ৯০ এর গণ আন্দোলনের রাজপথের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা মোহাম্মদ মকিস মনসুর. ইউকে বিডি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর সাবেক ছাত্রনেতা খায়রুল আলম লিংকন.  ইউকে বিডি টিভির ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নুরুল ইসলাম ও  ইউকে বিডি জনপ্রিয় উপস্থাপিকা হেলেন ইসলাম সহ ইউকে বিডি অনলাইন টিভির সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইউকে বিডি টিভির ভূয়সী প্রশংসা করে আগামীদিনে এই রকম উদ্যোগ নেওয়ার ও আহবান জানিয়েছেন।। 


একুশে সংবাদ/ব/আ

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর