সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শাহজাহান কবির বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৫৬ পিএম, ২ মে, ২০২৪

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী  আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, শাহজাহান কবির বীর প্রতীক দীর্ঘদিন যাবৎ মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষনা করে ইতিমধ্যে অনেকগুলো বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন। 

বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হল রুমে শাহজাহান কবির বীর প্রতীকের লেখা “সাত বীরশ্রেষ্ঠ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” ও “আমার একাত্তর” বই দুইটির মোড়ক উন্মোচন প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
 

খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গোলাম আজাদ বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে   মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হল রুমে শাহজাহান কবির বীর প্রতীকের লেখা “সাত বীরশ্রেষ্ঠ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” ও “আমার একাত্তর” বই দুইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
 

তিনি বলেন, শাহজাহান কবির বীর প্রতীক দীর্ঘদিন যাবৎ মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষনা করে ইতিমধ্যে অনেকগুলো বই লিখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছেন, যা অতুলনীয়। বিশেষ করে আজ “সাত বীরশ্রেষ্ঠ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান” ও “আমার একাত্তর” বই দুইটিতে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং একই সাথে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরকে শাহজাহান কবিরের মত মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষনা করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখার জন্য অনুরোধ  জানাই।

 বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি  সামছুদ্দিন আহমেদ মানিক ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মহাপরিচালক ড. মো. জহিরুল ইসলাম রুহেল। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন  মাহবুব এলাহি রঞ্জু বীর প্রতীক,  আনোয়ার হোসেন বীর প্রতীক,  মিজানুর রহমান খান বীর প্রতীক,  মোজাম্মেল হক বীর প্রতীক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা  অনিল বরণ রায়,  মোশারফ হোসেন,  হাবিবুল হক খোকন প্রমুখ। 

বিশেষ অতিথি হিসেবে হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি  সামছুদ্দিন আহমেদ মানিক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রথম যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি ১৯৭১ সালে ১৯ মার্চ জয়দেবপুর পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের জনগণকে নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে যে সাহস দেখিয়েছেন তা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। 

বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবু এলাহী রঞ্জু বীর প্রতীক বলেন, আমাদের প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার উচিত জীবদশায় আমাদের নিজস্ব যুদ্ধগুলি লিখে যাওয়া উচিত। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর