সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

এখনো পুড়ছে সুন্দরবন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:০৩ পিএম, ৫ মে, ২০২৪

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন ৩০ ঘণ্টা পরেও পুরোপুরি নেভেনি। তবে, আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি করেছে বনবিভাগ। রোববার (৫ মে) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড প্রথমদিনের মতো আগুন নেভানোর কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। আগামীকাল সকাল থেকে আবারো শুরু হবে আগুন নেভানোর কাজ।

বনবিভাগ জানিয়েছে, বনের চার একর এলাকাজুড়ে আগুনের বিস্তৃতি ঘটেছে। আগামী দুই-তিনদিন আগুন লাগার স্থান নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ। তবে, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত এবং বনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত তা এখনো বলতে পারেনি বনবিভাগ। তবে, বনকর্মীরা তাদের নিজেদের পানির উৎস থেকে বনে ধোঁয়া উড়তে দেখলে তা নিভিয়ে ফেলতে কাজ চালিয়ে যাবে।

এরআগে, সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় গ্রামবাসী আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। দুপুরে বনের আগুন নেভাতে উপর থেকে হেলিকপ্টার দিয়ে পানি ছিটানো হয়। এর আগে সকাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয় নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড। এছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসীও আগুন নেভাতে বনবিভাগকে সহযোগিতা করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফায়ার লাইন কেটে (মাটি কেটে বিচ্ছিন্ন) রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।

এদিকে, রোববার দুপুরে বনবিভাগের খুলনা কার্যালয়ের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শনিবার দুপুরে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগে। পরে বনবিভাগ ও স্থানীয় গ্রামবাসী বনের আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে।

বনবিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো ইনডিপেনডেন্টকে বলেন, ‘রোববার সকালে খুলনা ও বাগেরহাটের ফায়ার সার্ভিসের মোট পাঁচটি ইউনিট, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডসহ স্থানীয় গ্রামবাসী আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। দিনভর তারা তাপদাহের মধ্যে ভোলা নদী থেকে পানি সংগ্রহ করে বনের আগুনে ছিটায়। দুপুর পর্যন্ত আমুরবুনিয়া এলাকায় অসংখ্য স্থানে আগুনের কুন্ডলি, ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। পানি ছিটানোর কারণে বিকেলের দিকে ওইসব স্থানে আগুন নেই বললেই চলে। তবে কিছু কিছু স্থানে মাঝে মধ্যে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে। সেসব স্থানে বনকর্মীরা পানি ছিটিয়ে তা নিভিয়ে ফেলছে।’

সুন্দরবনে আগুন নেভাতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডও কাজ করছেসুন্দরবনে আগুন নেভাতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডও কাজ করছে মিহির কুমার দো জানান, এখন কোথাও বড় পরিসরে আগুন নেই। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড কাজ সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। তবে বনবিভাগ আগুন নেভানোর কাজ চালিয়ে যাবে। বনে লাগা আগুন যেহেতু পাতার নিচ থেকে ছড়ায় সেজন্য আগামী আরও দুই তিনদিন আগুন লাগার স্থান নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

এদিকে, সুন্দরবনের আগুন নির্বাপণে ইতোমধ্যে খুলনায় পৌঁছেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লে.কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি বড় দল।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামীকাল ভোর সাড়ে ৫ থেকে দলটি অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।

 

একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা

 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর