সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মিয়া ফারুকী ইতিহাসে অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবেন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ৩ জুলাই, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

মিয়া আবু মোহাম্মদ ফারুকীর মতো বিরল প্রতিভার আজ বড়ই প্রয়োজন। তিনি ইতিহাসে অমর-অক্ষয় হয়ে থাকবেন। গত ১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দেশ বরেণ্য বৃদ্ধিজীবি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, লেখক ও প্রাবন্ধিক, রাজনীতিবিদ, ভাষা সৈনিক মিয়া আবু মোহাম্মদ ফারুকীর ৬ষ্ঠ মত্যু বার্ষিকীর স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের      (সিএইচআরসি) উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপত্বি করেন লেখক লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া। 

প্রধান অতিথি ছিলেন, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ।

সিএইচআরসি এর সভাপতি ইতিহাসবেত্তা সোহেল মো.ফখরু-দীনের উপস্থাপনায় সঞ্চালনায় মিয়া ফারুকীর সংগ্রামী জীবন নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান আলোকচিত্রী মিয়া আবু মোহাম্মদ ফারুকীর সন্তান শোয়েব ফারুকী, আইনবিদ ও লেখক ড. খান মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, প্রবীন শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক ইলিয়াছ ফারুকী, কবি অরুপ বড়ুয়া, রাজনীতিবিদ হাবিবুর রহমান হাবিব, সম জিয়াউর রহমান, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, হামিদা বেগম ফারুকী, সৈয়দ শাহাবুদ্দিন আজিজ চন্দনাইশী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী ও সংগীত শিল্পী শহীদ ফারুকী, সংগীতশিল্পী এসএম ফরিদুল হক, রাজনীতিক বেলাল হোসেন মিন্ঠু, ওসমান গনি, কবি ইমরানুল ইসলাম, গজলশিল্পী মোহাম্মদ আনিস, কবি নাজমুল হক শামীম, প্রবীন রাজনীতিবিদ অমর কান্তি দত্ত, সৈয়দ মাইনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আবুল হোসেন, কবি সাফাত বিন সানাউল্লাহ, মোহাম্মদ ওয়াসিম,তুষার আহমদ,মোহাম্মদ আবু মোরশেদ খান, মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, কবি দেলোয়ার হোসেন মানিক, অধ্যাপক দিদারুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শিক্ষা জীবন শেষে করে ১৯৪৯ সালে রাজনীতিতে যোগদানকারী মিয়া ফারুকী তখন থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে ইউনিয়ন, থানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে মাঠে ময়দানে সংগ্রাম চালিয়ে যান। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। রাজীনীতির স্বার্থে তিনি ১৯৫৮ সালে কারাবরণ করেন। ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম জেলা আ’লীগের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ এর গণআন্দোলন, ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থা অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে ধরতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।


 

 

একুশে সংবাদ/রা.শ/এস.আই

সাহিত্য বিভাগের আরো খবর