সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গলদা চিংড়ি চাষে আয়ের বিশাল উৎস

প্রকাশিত: ০৫:২৩ পিএম, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

স্বপন কুমার বিশ্বাস নামে এক কৃষক ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মিঠা পানিতে গলদা চিংড়ি চাষ করে সফল হয়েছেন। পরীক্ষামূলক চাষ করে জেলায় তিনি  প্রথম সফলতা পেয়েছেন।চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৮০ শতাংশ জমির ৬৬ শতক জলাকর এলাকায় ৩২ শত রেনু গলদা চিংড়ির চাষ করেন। সাত মাস পর এখন ৮ থেকে ৯ চিংড়িতে এক কেজি হচ্ছে।

এক কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকায়। রোববার ১০ কেজি চিংড়ি সংগ্রহ করে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। সফল এই মাছচাষি স্বপান কুমার বিশ্বাসের বাড়ি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১নং সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নের মহাদেবপুর গ্রামে। এছাড়া সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মৎস্য অফিসের ক্ষেত্র সহকারি হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন।


মাছচাষি স্বপনের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে বাগেরহাট থেকে রেনু গলদা চিংড়ি আনা হয়। সাত মাসে মাছের খাবার ও পরিচর্যায় খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। পুকুরে যে চিংড়ি আছে তা তিনশ কেজির উপরে হবে। সে হিসাবে চিংড়ি বিক্রি করা যাবে তিন লক্ষাধিক টাকা।

চিংড়ি চাষের ঝুঁকি সম্পর্কে মাছচাষি স্বপন কুমার জানান, পানিতে এ্যামোনিয়া গ্যাস আর অক্সিজেন ঠিক রাখতে হয়। আর রাতে শিয়ালের উপদ্রব ঠেকাতে পারলে চিংড়ি চাষ লাভজনক করা সম্ভব।

সফল এই মাছচাষি স্বপন কুমার এর আগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ক্ষেত্র সহকারি হিসাবে চাকরি করতেন। এখন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আছেন। ফলে একই উপজেলায় বাড়ি হওয়ায় তিনি সহজেই গ্রামের বাড়িতে গলদা চিংড়ির চাষ করার সুযোগ পেয়েছেন।

স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, আমি মৎস অফিসে চাকরি করি। মাছ চাষ সম্পর্কে প্রচুর প্রশিক্ষণ নেয়া আছে। ফিসারিজের উপর চার বছরের ডিপ্লোমা করা আছে। কিন্তু সরকারি অফিসের দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাছ চাষের সুযোগ ছিল না।

বর্তমানে আমার এলাকায় চাকরি করছি। যে কারণে গ্রামের বাড়িতে একটি পুকুরে গলদা চিংড়ির সাথে দেশিয় অন্যান্য মাছের সমন্বিত মাছ চাষ করার সুযোগ হয়েছে। আমার মাছ চাষ দেখাশোনা করে আমার ছেলে।

কালীগঞ্জ উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ সাইদুর রহমান রেজা জানান, ঝিনাইদহের আবহাওয়া এবং পানি গলদা চাষের জন্য উপযুক্ত। এ এলাকার চাষিরা যদি গলদা চাষ শুরু করেন তাহলে জেলার কৃষকরা একদিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে, অন্যদিকে দেশিয় মাছের চাহিদা পুরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

চিংড়ি চাষের প্রতিটি পর্যায়ে সুচারুভাবে দেখভাল করা হয়েছে বলে জানান তিনি।এছাড়া কালীগঞ্জ মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত কারিগরি সহযোগিতা করা হয়েছে। 

একুশে সংবাদ/তাশা

কৃষি বিভাগের আরো খবর