সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘আর্টিফিশিয়াল রেইনের’ পরিকল্পনা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

কৃষির আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে নানান পদক্ষেপ। এর মধ্যে সেচ নিশ্চিত করতে নদী-খাল খনন ও পতিত জমি ধান চাষের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলমান। পাশাপাশি আর্টিফিশিয়াল রেইন বা কৃত্রিম বৃষ্টির বিষয়টি নিয়েও কাজ অব্যাহত আছে। যার ফলে নিজেদের উৎপাদিত ধানেই চাহিদা মেটাচ্ছে বাংলাদেশ।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। গতকাল খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার ব্রাহ্মগাতি দাশপাড়ার ৫০ বিঘা জমিতে ধান গবেষণা পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘এখানে ৭টি জাত প্রদর্শন হয়েছে। এর ৫টি উফসী ও ২টি হাইব্রিড। সবগুলোই চাষ করতে হবে এমন বিষয় না। আগামীতে যার যেটা ভালো লাগবে, তিনি সেটাই চাষ করতে পারবেন। এজন্য প্রয়োজনীয় বীজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পানি ও লবণাক্ততা সমস্যা আছে। কিন্তু নদীর মিষ্টি পানি ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ডুমুরিয়ায় ১০১ জাত চাষে প্রতি শতকে ১ মণ ধান পাওয়া গেছে। গত ৩-৪ বছরে চাল আমদানি করা হয়নি। নিজেরাই প্রয়োজনীয় ধান উৎপাদন করছি। তাই উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গবেষণা ও পরিকল্পনা নিয়ে কাজিএগিয়ে যাচ্ছে।’একজন কৃষকের মন্তব্য, ‘৫০ বিঘা জমিতে উফসী জাত চাষ করেছি ।এর আগে হাইব্রিড ধানে আগ্রহী ছিলাম। বিভিন্ন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে দেশীয় জাতে আগ্রহী ছিলাম না। কিন্তু সঠিক নিয়মে ও সঠিক পরিচর্যায় ফলন ভালো হয়েছে। ৮৯ জাত চাষ করেছি, এ জাত আগামীতে চাষ করতে বীজও সংগ্রহ সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে। গত বছর হাইব্রিড চাষে শতকে সোয়া মণ পেয়েছিলাম। এবার উফসী চাষে শতকে দেড় মণ পাবো বলে আশা করছি।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ‘খুলনায় এক লাখ সাত হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে তৎপরতা চলছে। এর অংশ হিসেবে দিঘলিয়ার ৮টি খাল খনন প্রায় শেষ। আরও ৬টি খাল খনন করা হবে। খুলনা অঞ্চলে এক হাজার ১২৭টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ৬১৫টি খাল খনন করা প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলছে।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগ খুলনার দিঘলিয়ায় ৫০ বিঘা জমিতে ৭টি জাতের ধান চাষ প্রদর্শন করা হয়। জাতগুলো হলো উফসী ব্রী ৮৯, ব্রী ৯২, ব্রী ১০০, ব্রী ১০৪ ও ব্রী ১০৫, হাইব্রিড ৩ ও ৮। এর মধ্যে ১০৫-কে ডায়াবেটিস ধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। যা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্যিকীকরণ করা সম্ভব।

 

একুশে সংবাদ/হ.ক.প্র/জাহা

 

কৃষি বিভাগের আরো খবর