সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিশ্বকাপে ওঠার আনন্দের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেনা রুমানা-সালমারা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২১

আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের মেয়েদের পথচলা শুরু প্রায় এক দশক আগে। কিন্তু কখনও খেলা হয়নি বিশ্বকাপে। দুইবার থমকে যেতে হয়েছিল বাছাই পর্বেই। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা পেয়ে দলের সবাই যেন আনন্দে আত্মহারা। মনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশের শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না রুমানা-সালমারা।

নিউজিল্যান্ডে হতে যাওয়া ২০২২ বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব খেলতে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এখন জিম্বাবুয়েতে অবস্থান করছে। করোনাভাইরাসের কারণে শনিবার মাঝপথে বাতিল হয়ে গেছে বাছাই প্রতিযোগিতা। এতেই বিশ্বকাপের দুয়ার খুলে দিয়েছে বাংলাদেশের। বাছাইপর্ব থেকে তিন দল যাওয়ার কথা ছিল মূল পর্বে। টুর্নামেন্টই বাতিল হয়ে যাওয়ায় এই দল তিনটি র‍্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতে নির্বাচন করেছে আইসিসি। 

স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আগেই মূল প্রতিযোগিতায় খেলা নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকার সুবাদে বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। জায়গা পেয়েছে র‍্যাঙ্কিংয়ে সপ্তম ও অষ্টম স্থানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানও। অলরাউন্ডার ও সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদ এক ভিডিও বার্তায় বললেন, এটা তাদের জন্য স্মরণীয় এক দিন।

তিনি বলেন,‘আজকের দিনটা আমাদের জন্য অনেক স্মরণীয়, এই দিনেই আমরা বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করেছি। আমরা অনেক ভালোভাবে র‍্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে এসেছি, এটা আমার কাছে আনন্দের। দেশবাসীর, সবার দোয়া ছিল বলে আজ এরকম একটা অনুভূতি আমাদের। পরবর্তী লক্ষ্য বিশ্বকাপে গিয়ে যেন আমরা ভালো কিছু করতে পারি। ইনশাআল্লাহ ভালো কিছুই হবে।”

স্বপ্নপূরণের আনন্দে ভাসছেন ব্যাটার ফারজানা হকও। আনন্দের প্রকাশের ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন না। তার ভাষায়,‘যে স্বপ্নটা আজ পূরণ হয়েছে আমাদের, এটা শুধু আমাদের নয়, ক্রিকেট বোর্ড, ম্যানেজমেন্ট, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সবাই। যে স্বপ্ন আমাদের ছিল, সেটা আস্তে আস্তে বাস্তবায়ন হয়েছে। বুঝিয়ে অনুভূতি বলা যাবে না আসলে কী (অনুভব করছি)। আমাদের যে স্বপ্নটা পূরণ হলো এটা সামনে আমাদের ক্রিকেটের জন্য ভালো হবে।’

আরেক সাবেক অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সালমা খাতুন বলেন,‘আলহামদুলিল্লাহ, বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে আমরা অনেক আনন্দিত। এটা বলে বোঝানো যাবে না, আমরা কতটা আনন্দিত। সবচেয়ে বড় বিষয়, আমরা এখানে এসেছিলাম বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে, সেটায় আমরা সফল হয়েছি। আশা করি, বিশ্বকাপে গিয়ে আমরা ভালো করব, ইনশাল্লাহ।’

করোনাভাইরাস মহামারীতে দেড় বছরের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে বিরতি ছিল দুই বছরের। এই মাসের মাঝামাঝি জিম্বাবুয়েতে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরে তারা। দাপুটে পারফরম্যান্সে তিন ম্যাচের সিরিজটি বাংলাদেশ জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে। এই সিরিজ দিয়েই নেতৃত্বের পথচলা শুরু হয় নিগার সুলতানার। বাছাই পেরিয়েও মূল পর্বে যাওয়ার বিশ্বাস তার ছিল। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম সফরে এত বড় সুখবর পেয়ে নিগারের আনন্দে বেড়ে গেছে দ্বিগুণ।    

তিনি বলেন,‘যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা এখানে এসেছিলাম, তা পূরণ হয়েছে। হয়তো এটা কিছুদিন পরে হতো, কিন্তু আগেই হয়ে গেছে, যার জন্য আমরা বেশি আনন্দিত। আমি বলব, এটা আমাদের সকলের কঠোর পরিশ্রমের ফল। আমরা যদি র‍্যাঙ্কিংয়ে পাঁচে থেকে কোয়ালিফাই করি, আমরা অনেক কষ্ট করেছি। আমরা প্রত্যেকে যে কাজগুলো করেছি, তার ফল হিসেবে এটা পেয়েছি।’

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর