সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম পাতাল রেল নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৪৯ পিএম, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আগামী বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশের প্রথম পাতাল মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক এ তথ্য জানিয়েছেন।

 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ২ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন ১-এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।’ সরকার প্রথমবারের মতো বিমানবন্দর-কমলাপুর এবং পূর্বাচল-নতুন বাজার-রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ রুটের মধ্যে ৩১.২৪১ কিলোমিটার বিশিষ্ট পাতাল ও উড়াল এমআরটি লাইন-১ নির্মাণ করবে। ডিএমটিসিএল এই মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে।

 

প্রকল্পের বিবরণে জানা যায়, এমআরটি লাইন-১ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায়  প্রথম রেল ডিপো নির্মাণ করা হবে এবং নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

 

এমআরটি লাইন ১-এর প্রথম অংশ হলো- বিমানবন্দর রুট (বিমানবন্দর-কমলাপুর), যাতে ১২টি স্টেশন সহ ১৯.৮৭২ কিলোমিটার বিশিষ্ট পাতাল রেল হবে। আর দ্বিতীয় অংশ হলো- পূর্বাচল রুট (নতুন বাজার থেকে রূপগঞ্জের পিতলগঞ্জ ডিপো), যাতে ৯টি স্টেশনসহ ১১.৩৬৯ কিলোমিটার বিশিষ্ট উড়াল হবে। এই স্টেশনগুলোর মধ্যে সাতটি স্টেশন উড়ালে হবে এবং বিমানবন্দর রুটের অংশ হিসাবে নতুন বাজার ও নর্দ্দা স্টেশন পাতাল অংশে থাকবে।

 

প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, নতুন বাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ (নর্দান রুট)সহ আন্তঃপরিবর্তন করার সুবিধা থাকবে। যেখান থেকে যাত্রীরা  নেমে পূর্বাচল বা পূর্বাচল রুট থেকে বিমানবন্দর রুটে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

 

প্রকল্পের বিস্তারিত বিবরণে বলা হয়েছে, এমআরটি লাইন-১ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর যেতে ২৪ মিনিট সময় নেবে। ১২টি পাতাল  স্টেশনে বিরতি ও সাতটি উড়াল স্টেশনে বিরতিসহ নতুন বাজার  থেকে পূর্বাচল যেতে ২০ মিনিট সময় লাগবে।

 

এতে আরও বলা হয়, এমআরটি লাইন-১ চালু হওয়ার পর এই রুটে ৮ লাখ যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে।

 

এমআরটি লাইন-১ পাতাল স্টেশন চার তলা বিশিষ্ট হবে। টিকিট কাউন্টার এবং অন্যান্য সুবিধাদি প্রথম বেসমেন্ট লেভেলে থাকবে। প্ল্যাটফর্মটি হবে দ্বিতীয় তালায়। উড়াল স্টেশনের টিকিট কাউন্টার ও প্ল্যাটফর্ম হবে চতুর্থ তলায়। উড়াল ও পাতাল উভয় স্টেশনেই লিফট, সিঁড়ি এবং এসকেলেটর থাকবে।

 

প্রকল্পটির জন্য ডিএমটিসিএল জাপানের টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড  ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

 

প্রকল্পটি ১২টি প্যাকেজের আওতায় বাস্তবায়িত হবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/ন.ট.প্র/জাহাঙ্গীর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর