সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গাড়িতে চড়লেই মাথা ঘোরে, বমি পায়? যেভাবে সামলাবেন জানুন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৫৬ পিএম, ৩ আগস্ট, ২০২২

 

সারা বছর আলাদা করে হজম সংক্রান্ত কোনও সমস্যা না থাকলেও বাসে-ট্রাম-ট্যাক্সি একটু গতিতে চললেই অনেকের মাথা ঘোরে, বমি পায়। দূরের কোনও ভ্রমণে তাই অনেকেই ট্রেন ছাড়া যেতে চান না। পাহাড়ি রাস্তায় গাড়িতে চড়লে তো এই সমস্যা অসম্ভব বাড়ে। কিন্তু কেন এমন হয়? অন্য সময় স্বাভাবিক থাকলেও নির্দিষ্ট একটি গতির মধ্যে থাকলেই শরীরে এমন সমস্যা হওয়ার কারণই বা কী?

 

চিকিৎসকদের মতে, মানুষের শরীরের তিনটি অংশ গতি নির্ণয় করে। চোখ, অন্তঃকর্ণ ও ত্বক। এই তিনটি অংশকেই 'সেনসরি রিসেপ্টর' বলা হয়। এরাই এই গতির অনুভূতিকে পাঠিয়ে দেয় মস্তিষ্কে। এই তিন সেনসরি রিসেপ্টরের মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনও অসামঞ্জস্য থাকলে তখনই এমন 'মোশন সিকনেস-এর সমস্যা হয়।

 

সকলের ক্ষেত্রে এই অসামঞ্জস্য দেখা যায় না বলেই তাঁরা মোশন সিকনেসের শিকার হন না। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই অসুখ কিছুটা যেমন শারীরবৃত্তীয় তেমন কিছুটা মানসিকও বটে। পূর্বের অভিজ্ঞতা ভাল না হওয়ায় গাড়িতে ওঠার আগেই একটা 'প্যানিক সিকনেস' তৈরি হয়ে যায়। তা শরীরের উপরেও চাপ ফেলে। তবে কিছু নিয়ম ও কৌশল মেনে চললে এই অসুস্থতাকেও বাগে আনা যায়। আজ থেকেই অনুসরণ করুন সেই সব উপায়।

 

গাড়িতে চড়লে কোনও রকম অসুবিধা হবে না, মনকে এটাই বোঝান আগে। এই শারীরবৃত্তীয় সমস্যাকে সরাতে আগে মানসিক জোরকেও বাড়াতে হবে। গাড়িতে বসে সামনের কাচের দিকে বা গাড়ির মধ্যের যন্ত্রপাতির দিকে না তাকিয়ে রাস্তা, বাইরের মানুষ, প্রকৃতি এ সব দেখুন। চোখ, অন্তঃকর্ণ এতে আরাম পাবে। যাত্রাপথের বিপরীতেও দেখবেন না। সেনসরি অর্গানের অসামঞ্জস্যতা আসতে পারে। একটানা গাড়িতে বসবেন না। মাঝে মাঝেই নামুন, ব্যক্তিগত গাড়ি না হলে দীর্ঘ পথ যাওয়াকে দু’টি-তিনটি ভাগে ভেঙে নিন। এমনিতেও দীর্ঘযাত্রার বাসগুলিও মাঝে মাঝে এক একটি জায়গায় থামে। তখন সেখানে নেমে একটু হাঁটাচলা করে নিন। পেট্রলের গন্ধ তাড়াতে ব্যাগে রাখুন সুগন্ধী। মাঝে মাঝেই তা স্প্রে করুন শরীরে। ব্যাগে কয়েকটা লেবু পাতা রাখুন ও গাড়িতে চড়ে তা নাকের কাছে ধরুন মাঝে মাঝেই। এতে গা গোলানোর সমস্যা অনেকাংশে কমবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/ন.ব.জা.হা

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর