সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বিদেশেও সুনাম কুড়াচ্ছে কুমড়া বড়ি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:০৭ পিএম, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২

শীত আসলেই গ্রামের ঘরে ঘরে ধুম পড়ে কুমড়ো বড়ি তৈরির। শীতকাল কুমড়ো বড়ি তৈরির উপযুক্ত সময়। এ গ্রামের নারীদের কর্ম ব্যস্ততা বাড়ে। প্রতিদিনের কাজের পাশাপাশি কুমড়া বড়ি তৈরি করেন তারা। অনেকই স্বজনদের জন্য বিদেশে কুমড়া বড়ি পাঠান। এতে বিদেশিদের কাছেও কুমড়া বড়ি পরিচিত হচ্ছে।

 

মেহেরপুরে প্রায় প্রতিটি পরিবারের নারীরা এখন কুমড়ো বড়ি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তৈরি এ বড়ি পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রিও হয়। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক নারী।

 

কুমড়ো বড়ি তৈরির প্রথম ধাপ হলো মাষকলাইয়ের ডাল করার পর তা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরপর ঐ ডাল পরিষ্কার করে শিল-পাটায় বেটে কিংবা মেশিনে ভাঙিয়ে তার সঙ্গে চাল কুমড়োর পুর মিশিয়ে সুস্বাদু বড়ি তৈরি হয়। গ্রামের প্রায় ৮০ ভাগ নারী কুমড়া বড়ি তৈরি করে থাকেন।

 

মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের গৃহবধূ বুলবুলি খাতুন জানান, তার স্বামী দেশের বাইরে থাকেন। কুমড়োর বড়ি তার স্বামীর খুব পছন্দ করেন। এজন্য নিয়মিত তাকে কুমড়া বড়ি বিদেশে পাঠাতে হয়। তরকারি খেয়ে কুমড়া বড়ির সুনাম করেন বিদেশিরাও। খাওয়ার পর অনেকেই আবার কিনে নিতে টাকা পাঠান।

 

জেলার হেমায়েতপুর বাজারের ব্যবসায়ী আনারুল বলেন, শীত আসলেই মুদি ব্যবসার পাশাপাশি কুমড়োর বড়ি বিক্রি করি। এবার এক ডজন বড়ি ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এ বিষয়ে মেহেরপুর জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাসিমা খাতুন জানান, এখন নারীরা বিভিন্ন কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। শীত আসলে মেহেরপুরের প্রতিটি বাড়িতে কুমড়ো বড়ি তৈরির উৎসব চলে। এখনে বাণিজ্যিকভাবেও অনেকে কুমড়া বড়ি তৈরি করছেন। এ জেলায় কয়েক হাজার পরিবার কুমড়া বড়ি তৈরি করে সংসার চালায়।

 

একুশে সংবাদ/রা.মা.প্রতি/পলাশ

ফিচার বিভাগের আরো খবর