সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আজম খানের মৃত্যু বার্ষিকীতে নেই কোন বিশেষ আয়োজন-ফকির আলমগীর

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৫ পিএম, ৫ জুন, ২০২১

বাংলাদেশের পপ ও ব্যান্ড সংগীতের ‘গুরু’ হচ্ছে আজম খান। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ২০১১ সালের আজকের এই দিনে তিনি পরলোক গমন করেন। দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর ভক্তরা হারিয়েছে ব্যান্ডসংগীত জগতের জনপ্রিয় ধারা পপ এবং সফট রক মেলোডি মিউজিক।

সংগীতাঙ্গনে আজম খানের যে কজন বন্ধু রয়েছেন তার মধ্যে ফকির আলমগীর অন্যতম। আজম খানের সঙ্গে তার রয়েছে অসংখ্য স্মৃতি। ফকির আলমগীর বলেন, আমরা একসঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় আড্ডা দিতাম। কমলাপুর রেললাইন, মধুমিতা হোটেল, চিটাগাং হোটেল এবং মতিঝিল পেট্রল পাম্পে লম্বা আড্ডা চলত আমাদের। বন্ধুদের আজম খান এমনভাবে পছন্দ করতো বা ভালোবাসতো যে মুখে বলতে হতো না। আমাদের প্রতি তাঁর লুকানো একটা ভালোবাসা ছিল। সে নিজেকে আড়াল করে রাখত। আজম খানের মৃত্যুদিন নিয়ে বিশেষ কোনো আয়োজন চোখে পড়েনি। তবে ভক্তরা তাকে স্মরণ করে গাইবেন তার কালজয়ী গানগুলো।

আজম খানের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, ঢাকার আজিমপুর কলোনির সরকারি কোয়ার্টারে। তার পুরো নাম মাহবুবুল হক খান। বাবা আফতাবউদ্দিন আহমেদ, মা জোবেদা খাতুন। মাত্র ২১ বছর বয়সে ঢাকা উত্তরের সেকশন কমান্ডার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এই পপতারকা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গান নিয়ে তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েন। গড়ে তোলেন ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’।

১৯৭২ সালে ‘এতো সুন্দর দুনিয়ায় কিছুই রবে না রে’ এবং ‘চার কালেমা সাক্ষী দেবে’ গান দুটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বিটিভিতে। ব্যাপক প্রশংসা আর তুমুল জনপ্রিয়তা এনে দেয় এই গান দুটি। দেশজুড়ে পরিচিতি পেয়ে যায় ব্যান্ডদল ‘উচ্চারণ’।

আজম খান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘রেললাইনের ওই বস্তিতে’ গান গেয়ে হইচই ফেলে দেন। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমি যারে চাইরে, ওরে সালেকা ওরে মালেকা, আলাল ও দুলাল, একসিডেন্ট, অনামিকা, অভিমানী, আসি আসি বলে, হাইকোর্টের মাজারে, পাপড়ি, বাধা দিও না, যে মেয়ে চোখে দেখে না, সময় এখন বর্ষা কাল ইত্যাদি ইত্যাদি। ১৯৮৬ সালে ‘কালা বাউল’ শিরোনামের একটি নাটকে কালা বাউলের চরিত্রে এবং ২০০৩ সালে শাহীন-সুমন পরিচালিত ‘গডফাদার’ চলচ্চিত্রে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেনন আজম খান। তাকে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও দেখা গেছে টেলিভিশনের পর্দায়।

একুশে সংবাদ/রাফি

বিনোদন বিভাগের আরো খবর