সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

‘ছাত্রলীগকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছেন কুবি ভিসি’

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:১৯ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম. আবদুল মঈনকে বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। তিনি ছাত্রলীগকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছেন বলেও অভিযোগ করেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ।

 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় এমন অভিযোগ করেন তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লেগেছেন।’

 

এর আগে উপাচার্য ও প্রশাসনবিরোধী স্লোগান দিতে দিতে ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা৷ এসময় তারা ‍‍`কুবির প্রশাসন, হুঁশিয়ার সাবধান, জামায়াত-বিএনপির প্রশাসন, হুঁশিয়ার সাবধান, ষড়যন্ত্র করিস নারে, পিঠের চামড়া থাকবে নারে‍‍` ইত্যাদি স্লোগান দেন।

 

এদিকে ১৪ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠানে উপাচার্য ছাত্রলীগকে আমন্ত্রণ জানাতে নিষেধ করেছেন দাবি করে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এবারই প্রথম রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ প্রশাসন ফুল দেওয়ার সময় নাটক করে আমাদের নাম ঘোষণা করেছে। আবাসিক হলের শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগ, প্রশাসন এসব দিবস একসাথে অংশগ্রহণ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ থাকুক সেটা উপাচার্য চান না।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য আওয়ামীলীগ হতে পারে না, উনি বিএনপি জামায়াতের এজেন্ট। মাননীয় উপাচার্য! আপনি কোথায় আওয়ামীলীগ করেছেন? আপনি ছাত্রলীগকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করতেছেন, ছাত্রলীগকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে চাচ্ছেন।’

 

উপাচার্য অপছন্দনীয় ব্যক্তিদেরকে পদে পদে বঞ্চিত ও হেয় প্রতিপন্ন করছেন দাবি করে ইলিয়াস বলেন, শিক্ষক, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারী যাদের আপনার পছন্দ হয় না, তাদের ওপর আপনি স্ট্রিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছেন। ছাত্রলীগের উপর তা প্রয়োগ করার চেষ্টা হলে আপনি বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আপনার কাছে ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে গেলে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে আপনি মিথ্যাচার করেন। আপনি (উপাচার্য) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জায়গায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চাচ্ছেন।’

 

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএফএম আবদুল মঈন। ছাত্রলীগের আনীত অভিযোগ সত্য কিনা? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‍‍`এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই।‍‍`

 

একুশে সংবাদ/ইর.প্রতি/পলাশ

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর