সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বরিশাল মুক্ত দিবসে বধ্যভূমিতে ববি ভিসির শ্রদ্ধা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:০৮ পিএম, ৮ ডিসেম্বর, ২০২২

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বরিশাল মুক্ত দিবস। দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ওয়াপদা কলোনীর নির্যাতন কেন্দ্র ও বধ্যভূমির স্মৃতি-৭১ স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন  বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. ছাদেকুল আরেফিন।

 

 পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন উপাচার্য। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, প্রভোস্ট, প্রক্টর, পরিচালক, পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক, ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাক বাহিনী অগ্রসরমান মুক্তিযোদ্ধাদের ভয়ে এ শহর থেকে ডেরা গুটিয়ে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর বিকাল ৪টা থেকে বরিশালে কারফিউ জারী করেছিল পাকবাহিনী। সীমান্তে মিত্র বাহিনী আক্রমণ শুরু করার পর ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকেই পাক সেনারা বরিশাল ত্যাগের প্রস্তুতি গ্রহণ করে।

 

বরিশাল শহর কেন্দ্রীক বিভিন্ন সড়ক পথ চারদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় হানাদাররা নৌ-পথে পালাবার পরিকল্পনা করে। এ উদ্দেশ্য যাত্রীবাহী স্টিমার ইরানী, কিউইসহ লঞ্চ ও কার্গো বরিশাল স্টিমার ঘাটে প্রস্তুত রাখা হয়। এসব নৌযানে করেই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী, পাক মিলিশিয়াসহ শহরের দালাল ও রাজাকার কমান্ডাররা বরিশাল ত্যাগ করে। পাক সেনাবাহিনীর নৌযানগুলো একাংশ চাঁদপুরের কাছে মেঘনা মোহনায় ভারতীয় মিত্র বাহিনীর বিমান হামলার কবলে পড়ে এবং কিউই জাহাজসহ গানবোড ও কার্গো ধ্বংস হয়।

 

অপর অংশ বরিশালের কদমতলা নদীতে ভারতীয় বিমানের বোমার আঘাতে পাকবাহিনীসহ নৌযানগুলো নিমজ্জিত হয়। ফলে এসব জাহাজে পলায়নরত সকল পাক সেনা, মিলিশিয়া, রাজাকার কমান্ডার ও দালালরা নিহত হয়। পাক বাহিনীর শহর ত্যাগের খবরে ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ বরিশালের মুক্তিকামী মানুষ বিজয়ের আনন্দে স্লোগান দিয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে আসে।

 

একুশে সংবাদ.কম/জা.হ.প্র/জাহাঙ্গীর

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর