‘অনুমোদনের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে গণমাধ্যমকর্মীদের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা’ এমনটাই বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকার এটি নিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন করেছে।
সাংবাদিকদের আবাসনের জন্যও বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া উভয়ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা কর্মস্থলে চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগেন। এটা স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য হুমকি। তাদের চাকরির এ অনিশ্চয়তা দূর করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় গণমাধ্যমকর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন প্রণয়ন করছে, যা বর্তমানে অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’
আজ ১৬ জুন (বুধবার) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে।
করোনা মহামারির বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সাংবাদিকদের পরিবারকে সহায়তা দেয়ার জন্য ১০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দেয়া হয়েছে। করোনায় প্রেস ক্লাবের আয় কমে যাওয়ায় মে মাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য ৫০ লাখ টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়েছে। সংবাদকর্মীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার ২০১৩ সালে অষ্টম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুয়োগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ১৮৮টি পত্রিকায় অষ্টম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। এছাড়া নবম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।’
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের জন্য অর্থ প্রদানসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়, এমনকি বিভিন্ন সময় গুরুতর আহত সাংবাদিকদের দেশ-বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যয়ভারও সরকার বহন করে থাকে।’
একুশে সংবাদ/তাশা