সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

পতিত জমিতে ড্রাগন চাষে মমতাজুর রহমান এর সফলতা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:০২ পিএম, ১৫ মে, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার গণমঙ্গল গ্রামের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মমতাজুর রহমান ৮ শতাংশ পতিত জমিতে ড্রাগন চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন।

মমতাজুর রহমান জানান, ২০১৮ সালে স্থানীয় একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ”এসো” এর সহযোগীতায় ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হই। ৮ শতাংশ জমিতে তিনি ১১২টি ড্রাগনের কাটিং লাগান। কাটিং লাগানো থেকে শুরু করে ফল পাওয়া পর্যন্ত সময় লাগে আড়াই বছর। কারিগরি সহযোগিতাও করেছেন ওই সংস্থা। ২০২০ সালে পরিচর্যা জনিত সমস্যার কারণে অল্প পরিসরে ফল পেলেও এবার গোটা ড্রাগনের বাগান জুড়ে মন জুড়ানো ফুল আর ফুল। 

তিনি জানান, ফুল ফোটার ৩০ দিনের মাথায় ড্রাগন ফল তোলার উপযুক্ত হয়। ড্রাগন চাষে নিজের খামারে উৎপাদিত কেঁচো সার ব্যবহার করে থাকেন। ড্রাগন চাষে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়না ফলকে রিনাপদ রাখার জন্য শুধুমাত্র ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। ২০২১ সালে ৬৬ কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করে খরচ বাদে ১৯ হাজার টাকা লাভ করলেও এবার দ্বিগুণ লাভের আশা করছেন সফল ড্রাগন চাষি মমতাজুর রহমান। তিনি আরো জানান, শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করলেও এখন তিনি বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করছেন। 

ড্রাগন চাষে সফলতা অর্জন করায় এলাকার মানুষকে এখন তিনি এই ফল চাষে উদ্বুদ্ধ করছেন। বিনামূল্যে ড্রাগনের কাটিং সরবরাহ ও পরামর্শ প্রদান করছেন। গরু ছাগলের খাওয়ার ভয় না থাকায় অনেকেই বসত বাড়ির পাশে পতিত জায়গায় ড্রাগন চাষ করছেন। ড্রাগন মূলত আমেরিকার প্রসিদ্ধ একটি ফল। যা বর্তমানে বাংলাদেশেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ২০০৭ সালে থাইল্যান্ড, ফ্লোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে এ ফলের বিভিন্ন জাত আনা হয়। ড্রাগন ফলের গাছ এক ধরনের ক্যকটাস জাতীয় গাছ। এ গাছের কোন পাতা নেই। ড্রাগন ফলের গাছ সাধারণত ১ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে।

 বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইহ্নটিটিউটের উদ্ভাবিত ড্রাগন ফলের নতুন জাত বারি ড্রাগন ফল-১, যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতে জনপ্রিয় ফল।  এ ফলের আকার বড়, পাকলে খোসার রং লাল হয়ে যায়, শাঁস গাঢ় গোলাপী রঙের, লাল ও সাদা এবং রসালো প্রকৃতির। ফলের বীজগুলো ছোট ছোট কালো ও নরম। একটি ফলের ওজন ১৫০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: শফিকুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাট জেলা ক্ষেতলাল উপজেলার মাটি ড্রাগন চাষের জন্য উপযুক্ত। পতিত জমিতেও এ ফল চাষ করা যায়। সরকারি ভাবেও ড্রাগন চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

একুশে সংবাদ/বা.স.স/রখ

কৃষি বিভাগের আরো খবর