সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: এখনও চালকের আসনে সরকার

প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ১০ জানুয়ারি, ২০২১

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরাতে এখনও সরকারের পররাষ্ট্রনীতি চালকের আসনে। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আমরা আশাবাদী রোহিঙ্গাদের তারা ফেরত নেবে।

রোববার (১০ জানুয়ারি) বেলা ২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ সবদেশে গেছি। সবাই স্বীকার করেছে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। তাই সমস্যা নির্মূলও করবে তারা। সবাই বলেছে, স্থায়ী সমাধান হলো লোকগুলো ফিরিয়ে নেওয়া। সুতরাং সেইদিন থেকে এখনও আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ড্রাইভার সিটে আছে। আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন- সবাই একবাক্যে বলছে মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে।

তিনি বলেন, দুনিয়ার কোথাও দেখেছেন ১১ লাখ মানুষকে জায়গা দেওয়ার? সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাকের ১০ লাখ বাস্তুহারা মানুষ ইউরোপের ২৭টি দেশে জায়গা দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে। আর এখানে ১১ লাখ মানুষকে মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন।

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা বারবার বলছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে ভেরিফেকশন করার পর। তারা কখনও বলেনি, রোহিঙ্গাদের নেবে না। আমরা বলেছি, তাদের নিয়ে যাও তবে ‘ইউ মাস্ট এনসিউর সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি’। তারা অঙ্গীকার করেছে নিয়ে যাবে। কিন্তু এরপরও আজ প্রায় সাড়ে ৩ বছরে একটি রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি। কারণ তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব।

মোমেন বলেন, আমরা চীনের সঙ্গে বসেছি, চারটি মিটিং করেছি। শেষ মিটিংটা খুব পজেটিভ ছিল। তখন তারা ওয়াদা করেছিল, রোহিঙ্গাদের তারা বোঝাবে। তাদের দেশের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অন্য সময় কিন্তু বলতো না।

রোহিঙ্গা না যাওয়ার কারণ তারা মিয়ানমার সরকারকে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই রোহিঙ্গাগুলো যায় না কেন? দুইবার চেষ্টার পরও যায়নি। একটি বড় কারণ রোহিঙ্গারা তাদের সরকারকে বিশ্বাস করে না। তাদের বলেছি, তোমাদের কাছে বিশ্বাসের অপূর্ণতা রয়েছে। বিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আমরা তিন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছি। একটি বলেছি, তোমাদের সরকারের নেতারা এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলুক। তারা একবার এসেছিল, পরে প্রশ্নের মুখে পড়ে আর আসেনি।

তিনি বলেন, আমরা তাদের বলেছি, রোহিঙ্গা মাঝিদের নিয়ে পরিদর্শন করাও। তারা কিন্তু কোনো উত্তর দেয়নি। তোমাদের সরকারকে যেহেতু বিশ্বাস করে না, তাই তোমরা নন মিলিটারিস সিভিলিয়ানকে রাখাইনে রাখো। তাতে, আমরা বলবো সেখানে তৃতীয় পক্ষ আছে তোমরা যাও কোনো অসুবিধা হবে না। তারা সেটিও মানেনি। হ্যাঁ বা না কোনোটি বলেনি।

একুশে সংবাদ/বানি/এআরএম

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর