আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল (সা.) বলেছেন, যার মধ্যে চারটি স্বভাব বিদ্যমান সে মুনাফেক। সাহাবিরা জানতে চাইলেন তা কী? তিনি বললেন, যে মিথ্যা কথা বলে, ওয়াদা করে ভঙ্গ করে, চুক্তি করে লঙ্ঘন করে, আর যখন ঝগড়া করে তখন অশ্লীল কথা বলে। (বুখারি) মুনাফেকরা মুখে ইসলামের পক্ষে কথা বললেও কখনো সত্যিকার অর্থে ইসলামকে ভালোবাসত না। তাদের অন্তরে ছিল ইসলামবিদ্বেষ। তারা ছিল সব সময় মিথ্যাবাদী। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘মুনাফেকরা যখন তোমার কাছে আসে তখন তারা বলে হে মুহাম্মদ, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি তুমি অবশ্যই আল্লাহর রসুল। হ্যাঁ আল্লাহও জানেন তুমি নিঃসন্দেহে তাঁর রাসুল।
কিন্তু আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন মুনাফেকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী।’ (সুরা মুনাফেকুন, আয়াত ১) মুনাফিকের চরিত্রের প্রথম বৈশিষ্ট্য হলো সে মিথ্যাবাদী। মিথ্যাই সব পাপের মূল। রসুল (সা.) বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট, সে যা শোনে তা সবার কাছে প্রচার করে বেড়ায়।’ (মুসলিম) মুনাফেকের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য অঙ্গীকার রক্ষা না করা বা ওয়াদা ভঙ্গ করা। আর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো আমাদের মধ্যে কেউ যখন কাউকে কোনো টাকাপয়সা ধার দিই বা কোনো লেনদেন করি, আমরা পাওনাদারদের পাওনা অর্থ ঠিকমতো পরিশোধ করতে গড়িমসি করি।
তাকে হেনস্তা করি। এগুলো মুনাফেকের লক্ষণ। তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হলো আমানতের খেয়ানত করা। আমি, আপনি প্রতিনিয়ত এ ধরনের কাজের সম্মুুখীন হই। কারও কাছে কোনো সম্পদ, অর্থ, বা সোনা-রুপা অর্থাৎ কোনো মূল্যবান সামগ্রী জমা রাখলে আমানতকারী তা ফিরিয়ে দিতে টালবাহানা করে কিংবা দেয় না। যাকে বলা হয় আমানতের খেয়ানত।
একুশে সংবাদ/ বা.প্র/ রখ