সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার ভূমিকা ছিলো রহস্যজনক: তথ্যমন্ত্রী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ৪ মার্চ, ২০২১

মুক্তিযুদ্ধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ‘প্রথমত: জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন বটে কিন্তু তার ভূমিকাটা রহস্যজনক ছিল। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে কারো বাড়িতে পানি খাওয়ানো হলেও সে কারণে সেই বাড়ির ওপর নির্যাতন হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার জিয়াউর রহমানের স্ত্রী আর পুত্ররা একেবারে পরম অতিথির আদরে পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় নেন- এটা রহস্যজনক।’ 

মন্ত্রী বলেন, ‘দ্বিতীয়ত: মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা জিয়াকে চিঠি লিখেছিল যে, তার কর্মকান্ডে পাকিস্তানিরা খুশি। সেই চিঠির কপি রয়েছে। তৃতীয়ত: ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারিদের তিনি পুণর্বাসিত করেছিলেন। যে যুদ্ধাপরাধীরা বাংলাদেশ চায়নি, বাংলাদেশের পতাকার বিরুদ্ধে পাকিস্তানিদের পক্ষ হয়ে গণহত্যা করেছে, তাদেরকে তিনি মন্ত্রী বানিয়েছেন। যে শাহ আজিজুর রহমান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানিদের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে গিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছেন এবং বলেছিলেন পুর্ব পাকিস্তানে কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না, কিছু ভারতীয় চর সেখানে গন্ডগোল করছে মাত্র, তাকে কেন প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন- সেটি বিরাট প্রশ্ন।’ 

‘এভাবে মুক্তিযুদ্ধকাল থেকে পরবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের কর্মকান্ডে স্বাক্ষ্য দেয় যে, তিনি আসলে মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন, সেই কারণে তার খেতাব বাতিলের প্রসঙ্গ এসেছে, তবে খেতাব বাতিলের কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি’ জানান ড. হাছান। 

বেগম খালেদা জিয়ার স্থায়ী জামিনের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বিষয়টির আইনগত দিকগুলো নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও  আইন মন্ত্রণালয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বলে জানান। 

এর আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগ আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এডভান্সমেন্ট অভ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং’ এর উদ্বোধনকালে তার বক্তৃতায় বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের সক্ষমতা ও সৃষ্টিশীলতার প্রশংসা করেন এবং বলেন বৈশ্বিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য এ ধরণের সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ। উদ্বোধনী সভায়  চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, পুরকৌশল বিভাগের প্রধান ড. সুদীপ কুমার পাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

একুশেসংবাদ/অমৃ

রাজনীতি বিভাগের আরো খবর