সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আরপিও সংশোধনী বিল

ইসির ক্ষমতা ‘সীমিত’ হচ্ছে, বিরোধী দলের আপত্তি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:৩৮ পিএম, ৫ জুন, ২০২৩

ভোটের দিন অনিয়ম, গন্ডগোল, জবরদস্তি ও পেশি শক্তির প্রভাব খাটালে সুনিদির্ষ্ট কেন্দ্রগুলোর ভোট বন্ধ করার একটি নতুন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-এর সংশোধনী বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র ক্ষমতা ‘সীমিত’ হওয়ায় ওই বিল উত্থাপনে আপত্তি জানান বিরোধী দলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম। তবে তার আপত্তি কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

 

সোমবার (৫ জুন) বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) বিল-২০২৩ সংসদে উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

 

পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে বিলের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

 

এরআগে আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে এমন অভিযোগ করে বিলটি উত্থাপনে আপত্তি জানান জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম। তিনি বলেন, ভোটের দিন অনিয়মের কারণে সুনির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোর ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা থাকলেও পুরো নির্বাচনী এলাকার সব ভোট কেন্দ্র বন্ধ করায় নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে।

 

জবাবে আইনমন্ত্রী দাবি করেন, জোর জবদস্তি, গোলযোগ, সহিংসতায় তদন্ত সাপেক্ষে পুরো নির্বাচনী এলাকার ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা (আরপিও ৯১ ক অনুচ্ছেদ) নির্বাচন কমিশনের রয়েছে। তবে নতুন করে একটা সংশোধনী আনা হয়েছে যাতে যেসব কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে সেগুলো বন্ধ করতে পারবে। এতে ইসির ক্ষমতা খর্ব করা হয়নি, বরং ইসিকে শক্তিশালী করা হয়েছে।

 

বিলের বিধান অনুযায়ী, শুধু কয়েকটি কেন্দ্রের গোলযোগ-জবরদস্তির জন্য পুরো আসনের ভোট বন্ধ করার পথ রোধ হচ্ছে। সবকেন্দ্রের অনিয়ম না হলে পুরো আসনের ভোট বন্ধ করা যাবে না, শুধু গোলযোগপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বন্ধ করতে পারবে। এতে জাতীয় সংসদের কোনো আসনের নির্বাচনে সব কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ ছাড়া পুরো আসনের ভোটের ফলাফল স্থগিত বা বাতিল করতে পারবে না ইসি। যেসব ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হবে, শুধু সেসব (এক বা একাধিক) কেন্দ্রের ভোট ফলাফল বা বাতিল করার ক্ষমতা পাবে ইসি।

 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে মনোনয়নপত্র জমাার সাত দিন আগে বিল পরিশোধের পরিবর্তে মনোনয়ন জমারর আগের দিন পর্যন্ত পরিশোধের বিধান করা, নির্বাচনকালে পেশি শক্তি প্রভাব প্রতিরোধ করা, মনোনয়নপত্রের সাথে আয়কর সনদ জমা, গণমাধ্যমকর্মী ও পযবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরপিও সংশোধন প্রয়োজন। বিলটি আইনে পরিণত হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হয়েছে।

 

একুশে সংবাদ/আজ/এসএপি

জাতীয় বিভাগের আরো খবর